• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

চন্দ্রচূড়ের অনুরোধের পরও কর্মবিরতির প্রশ্নে অনড় সি‍বিআই রিপোর্টের পর সিদ্ধান্ত, জানালেন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা  

আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রাখলেন। চিকিৎসকেরা জানান, আগামী বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর এই বিষয়ে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন। 

আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রাখলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আন্দোলনরত চিকিৎসকদের এক প্রতিনিধি জানান, ২১ আগস্টের পর এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  চিকিৎসকেরা জানান, আগামী বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর এই বিষয়ে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন। 
 
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আর জি কর হাসপাতালে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাজে ফেরার অনুরোধ জানান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি মঙ্গলবার বলেন, ‘এটা নির্দিষ্ট কোন ঘটনা নয়. আমরা দেশ জুড়ে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। চিকিৎসকরা যাতে নিরাপদে কাজ করতে পারেন সেই দিকটি নিশ্চিত করা দরকার।’ চন্দ্রচূড় এদিন বলেন, ‘ আমরা ডাক্তারদের পুনরায় কাজ শুরু করার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা ডাক্তারদের কাছে আবেদন করছি যে আমরা তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এখানে আছি।’ 
 

চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সাত সদস্যের জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, চিকিৎসকদের দাবি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে, চিকিৎসা পরিষেবা সচল রাখতে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানায় সুপ্রিম কোর্ট। আরজি করে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের মধ্যে চিকিৎসক সৌম্যদীপ রায় মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, ‘সবটাই শুনেছি। আমরা জেনারেল বডির মিটিংয়ে আলোচনা করেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’

আন্দোলনরত চিকিৎসকরা জানান, ‘আমরা আমাদের কর্মবিরতি এখনই তুলছি না। প্রথমে তাঁরা জানান, বিকেল চারটেয় জেনারেল বডি মিটিং আছে। সেই মিটিংয়ের পরে আমরা বাকি সিদ্ধান্ত নেব।’ তাঁদের প্রশ্ন,  কেন্দ্রীয় বাহিনী কি শুধুই আরজি কর হাসপাতালে থাকবে, নাকি সমস্ত হাসপাতালেই থাকবে? কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি থাকেও, তারা কতদিন থাকবে সেটাও সুনিশ্চিত করতে হবে। আমরা এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।ক্যাম্পাসেই ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকৃত দোষী। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমরা আদালতের দিকে তাকিয়ে রয়েছি।  সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া  হবে। ‘