• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বহিরাগত প্রবেশ রুখতে ‘পারমিট’ বাধ্যতামূলক করল অরুণাচল

অনুমতি ছাড়া ‘বহিরাগত’দের প্রবেশ বন্ধ করল অরুণাচলপ্রদেশ সরকার। স্পষ্ট ভাষায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু জানালেন, বহিরাগতদের আর রাজ্যে এভাবে ঢুকতে দেওয়া যাবে না । বহিরাগতদের অবৈধ প্রবেশ আটকাতে এবং রাজ্যে প্রবেশ করতে আবশ্যিকভাবে সরকারের থেকে নিতে হবে ‘পারমিট’ বা প্রবেশ অনুমতি। অবৈধ অনুপ্রবেশের জেরে রাজ্যের মানুষের সংস্কৃতি যাতে প্রভাবিত না হয় সেই লক্ষ্যেই ‘ইনার লাইন

অনুমতি ছাড়া ‘বহিরাগত’দের প্রবেশ বন্ধ করল অরুণাচলপ্রদেশ সরকার। স্পষ্ট ভাষায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু জানালেন, বহিরাগতদের আর রাজ্যে এভাবে ঢুকতে দেওয়া যাবে না । বহিরাগতদের অবৈধ প্রবেশ আটকাতে এবং রাজ্যে প্রবেশ করতে আবশ্যিকভাবে সরকারের থেকে নিতে হবে ‘পারমিট’ বা প্রবেশ অনুমতি। অবৈধ অনুপ্রবেশের জেরে রাজ্যের মানুষের সংস্কৃতি যাতে প্রভাবিত না হয় সেই লক্ষ্যেই ‘ইনার লাইন পারমিট’ পদ্ধতিকে আরও মজবুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি মেঘালয় রাজ্যে এই নীতি লাগু করার জন্য আন্দোলন শুরু হয়েছে। ইনার লাইন পারমিট উদ্দেশ্য, বাইরের রাজ্য থেকে আসা কেউ যাতে অবৈধভাবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে বসবাস না করতে পারে। এবং সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত করতে না পারে।

সোমবার রাজধানী ইটাহারে প্রশাসনিক আধিকারিক ও অখিল অরুণাচল প্রদেশ ছাত্র সংঘের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে ছাত্র সংগঠন জানায়, কীভাবে রাজ্যে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ বেড়েছে। এমনকী রাজ্য পুলিশের রিপোর্টও তুলে ধরা হয়। যেখানে সাম্প্রতিক সময়ে আইএলপি নীতি লঙ্ঘনকারী ১৫৫ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন, স্থানীয় জনজাতির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বহিরাগতদের জেরে যাতে প্রভাবিত না হয় সেই লক্ষ্যেই কড়া ভাবে লাগু হবে ‘ইনার লাইন পারমিট’।

উল্লেখ্য, বেঙ্গল ইস্টার্ন রেগুলেশন ১৮৭৩ অনুযায়ী লাগু করা হয় এই ‘ইনার লাইন পারমিট’। যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট রাজ্যে কেন এবং কী উদ্দেশে যাওয়া হচ্ছে তা জানাতে হয় রাজ্য সরকারকে। সরকার তা বিচার করে ভিনরাজ্যে বসবাসকারী ভারতীয়দের রাজ্যে প্রবেশের অনুমতি দেয়। উত্তর-পূর্বের অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম ও মণিপুরে লাগু রয়েছে এই নীতি।