আর জি করের নৃশংস ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে।এই ঘটনায় দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন, ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও বেশি সংখ্যক মহিলা যুক্ত হচ্ছেন। আমরা আর কোনও ধর্ষণের জন্য অপেক্ষা করতে পারব না! পরিস্থিতির পরিবর্তন প্রয়োজন।’ বর্তমানে যে বন্দোবস্ত রয়েছে তা কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত নয় বলেও পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির।
দেশের চিকিৎসক মহলের ওপর হামলার ঘটনায় চিন্তিত শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের কথায়, ”চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যারা যুক্ত তাঁরা সহজেই হামলার শিকার হচ্ছেন। মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিতসকেরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, এই ধরনের ঘটনা ঠেকাতে একটি সুপারিশ কমিটি গঠন করেছে সর্বোচ্চ আদালত। এই টাস্কফোর্স ডাক্তারদের নিরাপত্তা, কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ এবং অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত নিয়মবিধি রূপায়ণে একটি সুপারিশ জমা দেবে।
এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে সুপ্রিম কোর্ট। মামলার শুনানিতে এ দিন দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘এই যৌন হেনস্থার নৃশংসতা মানুষের চেতনাকে নাড়িয়ে দিয়েছে।’ প্রধান বিচারপতি জানতে চান, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করা হয়েছে কি না। জবাবে রাজ্য জানায়, তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান রাজ্যের আইনজীবী। আগামী ২২ আগস্ট সিবিআই-কে তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত। হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়েও ওই দিন রিপোর্ট দেবে রাজ্য। আগামী ২৩ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি ।