• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

দলীপ ট্রফিতে নেই রোহিত, বিরাট, প্রশ্ন তুললেন গাভাসকার

ভারতীয় ক্রিকেটের আইকন সুনীল গাভাসকার প্রশ্ন তুলেছেন, একই যাত্রায় পৃথক ফল কেন হবে?

বিসিসিআইয়ের ঘোষণা মতো দলীপ ট্রফি ক্রিকেটে ৬০ জন খেলোয়াড়ের নাম দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কোনও দলেই বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার নাম নেই। তা দেখে অনেকেই হতবাক। এমনকি ভারতীয় ক্রিকেটের আইকন সুনীল গাভাসকার প্রশ্ন তুলেছেন, একই যাত্রায় পৃথক ফল কেন হবে? ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড আগেই তো বলেছিল, ভারতের তারকা ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক ক্রীড়াসূচির বাইরে ঘরোয়া ক্রিকেট লিগে খেলতে হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিরাট ও রোহিতের নাম না থাকাটা আশ্চর্যজনক। গাভাসকারের জিজ্ঞাসা, যেখানে একদিনের ম্যাচের সংখ্যা কম, তাহলে কেন তারকা ক্রিকেটাররা খেলবেন না ঘরোয়া ক্রিকেটে। এমনকি বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। সেই কারণে ওই দুই ক্রিকেটারকে আরও বেশি করে খেলার জন্য দলে রাখা উচিত ছিল। বিরাট ও রোহিতের পক্ষ নিয়ে বোর্ডের সচিব জয় শাহ বলেন, সিনিয়র ক্রিকেটাররা যদি দলীপ ট্রফিতে খেলেন, তাহলে তাঁদের চোট লাগতে পারে। সেই কারণেই তাঁদের দলের বাইরে রাখা হয়েছে।

এই যুক্তি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না সুনীল গাভাসকার। তিনি বলেছেন, এটা কোনও যুক্তি হতে পারে না। সিনিয়র ক্রিকেটার বলে তাঁদের বিশ্রাম দেওয়া হবে, এটা কোনও কারণ হতে পারে? তাঁরা তো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছে, সেই কারণে একদিনের ক্রিকেটে তাঁদের আরও বেশি করে খেলা উচিত। যত বেশি তাঁরা ক্রিকেট খেলবেন, ততই তাঁরা বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জন্য সচেতন হতে পারবেন। বয়স বাড়লে আরও বেশি ম্যাচ খেলার প্রয়োজন রয়েছে। কী কারণে তাহলে দলীপ ট্রফিতে তাঁদের বিশ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হল? মহম্মদ শামিকে নিয়ে প্রশ্ন করতেই সচিব জয় শাহ বলেন, তাঁদের ভাবনার মধ্যে রয়েছে আগামী বাংলাদ্শের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে ভারতীয় দলে মহম্মদ শামিকে রাখা হতে পারে। দলীপ ট্রফিতে শ্রেয়স আইয়ার, লোকেশ রাহুল ও ইশান কিষানের মতো খেলোয়াড়দের রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে সুনীল গাভাসকার সতর্ক করে বলেছেন, কলকাতা-চেন্নাইয়ের মতো দল টাকা নষ্ট করছে আইপিএল ক্রিকেটের নিলামের সময়। কলকাতা নাইট রাইডার্স অঙ্গকৃশ রঘুবংশীকে কিনেছিল। রঘুবংশী ভারতের হয়ে অনুর্ধ্ব ১৯  বিশ্বকাপ ক্রিকেটে মাত্র দু-একটি ম্যাচ খেলেছিল। ধারাবাহিকভাবে দু-একটা ম্যাচ ছাড়া খেলতে পারেনি। আবার উত্তরপ্রদেশের টি-টোয়েন্টি লিগে দ্রুততম শতরান করা ৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে সমীর ঋজভিকে কিনেছিল চেন্নাই সুপারকিংস। এটা মনে রাখতে হবে, আইপিএল  ক্রিকেটে বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে ঘরোয়া লিগের ক্রিকেটারদের খেলা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। তাই ভেবে চিন্তে ক্রিকেটারদের নেওয়া উচিত যে কোনও দলের কর্মকর্তাদের। তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করা আসলে তা পয়সা নষ্ট করার শামিল। প্রতি বছরই ঘরোয়া ক্রিকেটারদের প্রতি নজর থাকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির। সেই কারণেই ক্রিকেটারদের কেনার সময় এই ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন সুনীল গাভাসকার।