পাক অধিকৃত কাশ্মীর তৈরি হওয়ার দায় জওহরলাল নেহরুর- দেশের বাণিজ্যনগরীতে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এমনটা বলেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ খোঁজার চেষ্টা করছে, বলা ভালাে বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাহার করার নেপথ্যে রাজনীতি দেখছে কিন্তু আমরা সেভাবে দেখি না। রাহুল গান্ধি বলছেন, ৩৭০ ধারা নাকি রাজনৈতিক ইস্যু– রাহুল বাবা আপনি সদ্য রাজনীতিতে এসেছেন। বিজেপি তিন প্রজন্ম ধরে কাশ্মীরিদের পাশে থেকেছে। আমাদের জন্য এটা কোনও রাজনীতি নয়, ভারত মাকে অবিভক্ত রাখার লক্ষ্য পূরণ।’
মহারাষ্ট্রে দলীয় জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোনও অস্তিত্ব থাকত না যদি নেহরু অসময়ে ভারতীয় সেনাকে অস্ত্রবিরতি করার ঘােষণা না করতেন। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তিনি দক্ষ হাতে বিষয়টি সামলাতে পারতেন, কিন্তু তাঁর বদলে নেহরু বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে সামলাতে দেওয়া হলে পুরাে কাশ্মীর ভারতের অংশ হয়ে থাকত।’ চলতি বছর আগস্ট মাসে জম্মু ও কাস্মীরের ওপর থেকে বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিয়ে দুটি নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়– জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখ।
জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকে রাজ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে– উপত্যকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত রাখার পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। পাকিস্তান ইস্যুটি নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি এক দেশ, এক সংবিধান ও এক প্রধানমন্ত্রী- মতবাদকে সমর্থন করে।’
তিনি বলেন, ‘জওহরলাল নেহরুর পদক্ষেপের কারণে জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাচক্রে গােপনে সন্ত্রাসবাদও দানা বাঁধতে শুরু করেছিল। ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ১৯৯০ সাল থেকে ২০০০ সালের মধ্যে কাশ্মীরি পন্ডিত, সুফি ও শিখদের উপত্যকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে’।