• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

২৬/১১ হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে হেফাজতে পেতে চলেছে ভারত

অবশষে ১১ বছর পর মুম্বইয়ে ২৬/১১ সন্ত্রাসবাদী হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড তাহাউর হুসেন রানাকে হাতে পেতে চলেছে ভারত। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার ব্যবসায়ী জঙ্গিকে নয়াদিল্লির হেফাজতে দিতে মার্কিন প্রশাসন আদালতে আবেদন করেছিল। মার্কিন কোর্ট অফ আপিল ফর নাইনথ সার্কিট জানিয়ে দিয়েছে, রানা ভারতের কাছে প্রত্যর্পণযোগ্য। অনেক দিন ধরেই রানাকে ভারতে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে দিল্লি । এ বার

অবশষে ১১ বছর পর মুম্বইয়ে ২৬/১১ সন্ত্রাসবাদী হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড তাহাউর হুসেন রানাকে হাতে পেতে চলেছে ভারত। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার ব্যবসায়ী জঙ্গিকে নয়াদিল্লির হেফাজতে দিতে মার্কিন প্রশাসন আদালতে আবেদন করেছিল। মার্কিন কোর্ট অফ আপিল ফর নাইনথ সার্কিট জানিয়ে দিয়েছে, রানা ভারতের কাছে প্রত্যর্পণযোগ্য।

অনেক দিন ধরেই রানাকে ভারতে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে দিল্লি । এ বার তাতে সবুজ সঙ্কেত দিল আমেরিকার আদালত। আমেরিকার নিম্ন আদালত আগেই অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ীকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত রানা। তাতে বিদেশি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেও ২৬/১১ হামলার মামলায় বেকসুর খালাস হয়েছিলেন অভিযুক্ত।

তবে এ বার আমেরিকার আপিল আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ভারতের কাছে অভিযুক্তকে হস্তান্তর করা যাবে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ে প্রকাশ, গত ১৫ অগস্ট আমেরিকার আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। আপিল আদালতের তিন বিচারপতির এক প্যানেল জানিয়েছে, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বন্দি হস্তান্তর চুক্তি অনুযায়ী রানাকে হস্তান্তর করা যাবে। নবম সার্কিটের আপিল আদালতে ওই মামলা চলছিল। শুনানির শেষ পর্বে আমেরিকার সহকারী অ্যাটর্নি ব্রাম অ্যালডেনও যুক্তি দিয়েছিলেন, দুই দেশের চুক্তি অনুযায়ী অভিযুক্তকে হস্তান্তর করা যাবে। সেই যুক্তিতেই কার্যত সিলমোহর দিল আমেরিকার আপিল আদালত।

২৬/১১ কাণ্ডের অন্যতম চক্রী কানাডার নাগরিক রানা এখন আমেরিকায় জেল খাটছে। মুম্বইয়ে হওয়া ওই ভয়াবহ হামলায় ছয় মার্কিন নাগরিকেরও মৃত্যু হয়। ২০১৩ সালে তাকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দেয় আমেরিকার আদালত। ২০২০ সালে স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কিন্তু ভারতের প্রত্যর্পণের আবেদনে খুনের মামলায ফের তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।