• facebook
  • twitter
Friday, 27 December, 2024

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে ফের আলোচনার টেবিলে জাপান-ভারত

আগামী ২০ অগস্ট নয়াদিল্লিতে ‘2+2’ বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।

1093162316

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে ফের আলোচনায় বসছে ভারত এবং জাপান। দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী বৈঠকে যোগ দেবেন। আগামী ২০ অগস্ট নয়াদিল্লিতে ‘2+2’ বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। এর আগে দু’বার ‘2+2’ বৈঠকে বসেছে ভারত-জাপান।

এই মেগা বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাপানের তরফে উপস্থিত থাকবেন জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মিনোরু কিহারা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া। এর আগে ২০১৯ সালে নয়াদিল্লি এবং ২০২২ সালে টোকিওতে এই বৈঠক হয়েছিল।

বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার ‘2+2’ বৈঠকে তাৎপর্য উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, জাপানের সঙ্গে ‘2+2’ বৈঠক আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা তৃতীয় বৈঠক হতে চলেছে। জাপানের সঙ্গে দীর্ঘসময় ধরেই ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের একই মঞ্চে পাওয়া আমাদের সম্পর্কের সব দিককে বিরাট উৎসাহ দেবে।

জয়সওয়াল বলেন, এই আলোচনা ভারত-জাপানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে। দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও গভীর করতে এবং দুই দেশের মধ্যে বিশেষ কৌশলগত ও পারস্পরিক অংশীদারিত্বের গভীরতা আনতে জাপানের সঙ্গে ‘2+2’ বৈঠকের সূচনা করা হয়।

আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া সহ খুব কম দেশের সঙ্গেই ‘2+2’ বৈঠক করে ভারত। চলতি মাসের শুরুতে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ভারত ও জাপানের মধ্যে সুসম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা এবং টোকিওর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেছেন।

‘2+2’ বৈঠক ছাড়াও বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জয়সওয়াল আসন্ন ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ সামিট নিয়েও আলোচনা করেছে। ১৭ অগস্ট, শুক্রবার ভারতে এই সামিট অনুষ্ঠিত হবে। পূর্ববর্তী বছরগুলির মতো এবারও এই বৈঠক ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। এই শীর্ষ সম্মেলনের লক্ষ্য গ্লোবাল সাউথের দেশগুলির ভাবনাচিন্তা এবং দৃষ্টিভঙ্গিকে একত্রিত করা।

ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ সামিট সম্পর্কে জয়সওয়াল আরও বলেন, ‘গ্লোবাল সাউথের সব দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনেক দেশ অংশ নিচ্ছে।’ এই অনুষ্ঠানটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গি এবং ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ এর ভারতের দর্শনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা বিশ্বব্যাপী ঐক্য ও সহযোগিতার উপর জোর দেয়।