• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

ফের রেল দুর্ঘটনা, লাইন থেকে ছিটকে গেল সবরমতী এক্সপ্রেসের ২২টি কামরা

শনিবার গভীর রাতে উত্তরপ্রদেশের কানপুর ও ভীমসেন স্টেশনের মাঝে লাইনচ্যুত হয় ১৯১৬৮ সবরমতী এক্সপ্রেস।

মুম্বই মেল দুর্ঘটনার ক্ষত এখনও মোছেনি। এরই মধ্যে ফের দুর্ঘটনা। এবার লাইনচ্যুত সবরমতী এক্সপ্রেসের ২২টি বগি। শনিবার ভোর রাত আড়াইটে নাগাদ উত্তর প্রদেশের কানপুরের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। লাইনের উপরে বোল্ডার থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে রেল সূত্রে খবর।

রেল সূত্রে খবর, কানপুর থেকে ট্রেনটি ছেড়ে ঝাঁসির দিকে যাওয়ার সময় ঘটে দুর্ঘটনা। ভীমসেনের কাছে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনের একাধিক কামরা। ট্রেনটি আচমকা বোল্ডারে ধাক্কা খেয়ে বেলাইন হয়ে পড়ে।

ট্রেনের ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চালক। বারাণসী থেকে রওনা দিয়েছিল সবরমতী এক্সপ্রেস। আর এই ট্রেনের গন্তব্য ছিল আমদাবাদ।

উত্তর মধ্য রেলের তথ্য অনুযায়ী, একটি বোল্ডার ছিল রেল লাইনে। তাতে ধাক্কা লাগে ইঞ্জিনের। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেই ইঞ্জিন। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং দমকল।

একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। ট্রেনের প্রতিটি কামরা ঘুরে দেখেন পুলিশ এবং রেল আধিকারিকেরা। সবরমতী এক্সপ্রেসের এই দুর্ঘটনার কারণ স্পষ্ট নয়, তবে বারবার এই ঘটনায় আতঙ্ক বাড়ছে যাত্রীদের মধ্যে।

রেল এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে কয়েকটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। নম্বরগুলি হল- ০৫৩২-২৪০৮১২৮, ০৫৩২-২৪০৭৩৫৩, ০৫৩২-২৪০৮১৪৯।

এদিকে দুর্ঘটনার জেরে আপাতত ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কানপুর  থেকে মুম্বই যাওয়ার রুট এটি। একাধিক ট্রেনের গতিপথ বদল করা হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেন থেকে যাত্রীদের কানপুর স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।সেখান থেকে অন্য ট্রেন বা বাসে করে তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হবে।

এক্স হ্যান্ডেলে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব লিখেছেন, সবরমতী এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটির সঙ্গে ট্র্যাকের উপর থাকা কোনও একটি বস্তুর ধাক্কা লাগে। কানপুরের কাছে রাত ২টো ৩৫ নাগাদ লাইনচ্যুত হয়। কোনও বস্তুর সঙ্গে ধাক্কা লাগার চিহ্নও ইঞ্জিনে স্পষ্ট। প্রমাণও রয়েছে।আইবি আধিকারিকরা ও পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

গত কয়েক মাস ধরেই দেশে একের পর এক রেল দুর্ঘটনা ঘটছে। ২০২৩-এ ওডিশায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে ২৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহতের সংখ্যা ছিল হাজারের বেশি। মাসখানেক আগেই শিলিগুড়ি লাগোয়া এলাকায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের।

শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে রাঙাপানি স্টেশনে পর পর দু’বার লাইনচ্যুত হয় মালগাড়ি। সপ্তাহ খানেক আগে চক্রধরপুর ডিভিশনের বারাবাম্বু স্টেশনের কাছে হাওড়া থেকে মুম্বইগামী হাওড়া-সিএসএমটি এক্সপ্রেসের ১৮টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। আহত হন বেশ কয়েকজন। একের পর এক রেল দুর্ঘটনায় আপাতত প্রশ্নের মুখে রেলের সুরক্ষাব্যবস্থা।