• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

‘ফাঁসির ভয় জাগানো দরকার’, আরজিকরে ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যা প্রসঙ্গে বললেন প্রধানমন্ত্রী

যারা এই ভয়ঙ্কর কাজগুলি চালাচ্ছে তাদের দ্রুততম সময়ে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক

কলকাতার আরজিকর-এ মহিলা ডাক্তারকে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশব্যাপী বিক্ষোভের মধ্যে বৃহস্পতিবার লালকেল্লায় দেশের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের পতাকা উত্তোলনের পর তাঁর ভাষণে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান স্পষ্ট করেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যাতে যথার্থ শাস্তি পায়, তার আহবান জানান মোদি।

এদিন প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লার মঞ্চ থেকে বলেন, ‘আমি আজ লাল কেল্লা থেকে আবারও আমার ব্যথা প্রকাশ করতে চাই। সমাজে নারীর প্রতি যে অত্যাচার হচ্ছে, তা নিয়ে আমাদের গুরুত্ব সহকারে ভাবতে হবে। এর বিরুদ্ধে দেশে ক্ষোভ রয়েছে। আমি এই ক্ষোভ অনুভব করতে পারি। দেশ, সমাজ এবং রাজ্য সরকারগুলিকে এটিকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন,’নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধের দ্রুত তদন্ত এবং যারা এই ভয়ঙ্কর কাজগুলি চালাচ্ছে, তাদের দ্রুততম উপায়ে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সমাজে আস্থা জাগ্রত করার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের অপরাধে অপরাধীদের শাস্তির বিষয়ে বৃহত্তর স্তরে জনজাগরণ এবং আলোচনার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এই ধরণের অপরাধের কী কঠিন শাস্তি হতে পারে, সেবিষয়ে এদের মধ্যে সেই ভয় থাকা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, “আমি এটাও বলতে চাই যে, যখন ধর্ষণ এবং নারীদের উপর অত্যাচারের ঘটনা ঘটে, তখন তা ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। কিন্তু এমন দানবীয় প্রবণতার ব্যক্তিকে যখন শাস্তি দেওয়া হয়, তখন তা খবরে দেখা যায় না। এক কোণায় সীমাবদ্ধ থাকে। সময়ের দাবি অনুযায়ী, যারা শাস্তি পাচ্ছে, তাদের নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা। যাতে এই পাপ যারা করে, তারা যেন বুঝতে পারে যে, এর চরম পরিণতি হতে পারে ফাঁসি। আমি মনে করি, অপরাধীদের মধ্যে এই ভয় জাগানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

প্রসঙ্গত গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় তীব্র জনরোষ এবং বিক্ষোভের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এদিন প্রধানমন্ত্রীর এই অবস্থানের পর জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে এবিষয়ে সাংবিধানিক নিয়মের সঙ্গে আরও বড় কোনও পদক্ষেপ বা আইন প্রণয়ন করতে চলেছে কি কেন্দ্র? যদিও মোদীর বক্তব্যে এবিষয়ে কিছু স্পষ্ট করা হয়নি।

সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই চিকিৎসককে একাধিক ব্যক্তি শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করেছে। যা গণধর্ষণের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। তাঁকে মর্মান্তিক ও নির্মম মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। অনুমান করা হচ্ছে, আঘাত লেগে তাঁর চশমার কাঁচ ভেঙে যাওয়ার জন্য তাঁর চোখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়। একাধিক রিপোর্ট অনুসারে, তাঁর গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন দেখে মনে হয়. তিনি একাধিক ব্যক্তির দ্বারা “বিকৃত যৌনতার” শিকার হয়েছেন।