কয়েক বছরে হিন্দি ছবির নায়িকার সংগাটাই পালটে দিয়েছেন বিদ্যা বালান। বলিউডের জিরো সাইজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারি চেহারা নিয়েও যে সফল নায়িকা হওয়া যায় তার প্রমাণ দিয়েছেন বিদ্যা।
বলিউডে নায়িকা কেন্দ্রিক ছবির চল শুরু হয় মূলত বিদ্যাকে দিয়েই। তাঁকে ভেবেই করা হয়েছিল ‘পরিণীতা’, ‘ইসকিয়া’, ‘নো ওয়ান লিকড জেসিকা’, ‘দ্য ডার্টি পিকচার’, ‘কাহানি’ এবং ‘বেগম জান’। বিদ্যার অভিনয় জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল কাহানি। বিদ্যার ব্যক্তিগত পছন্দের তালিকায় রয়েছে, ‘দ্য ডার্টি পিকচার’, ‘কাহানি’ এবং ‘তুমহারি সুলু’। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি খুব লাজুক প্রকৃতির মানুষ। আমার মধ্যে দ্বৈত সত্তা আছে। অভিনয় করার সময় বিদ্যা বালান অন্য মানুষ হয়ে যান। চরিত্রের স্বার্থে আমি সব কিছু করতে পারি। কিন্তু মানুষ হিসেবে আমি খুব লাজুক’। সুজয় ঘোষ পরিচালিত ‘কাহানি’ ছবিটিতে বিদ্যা বাগচির চরিত্র এখনও পর্যন্ত তাঁর সেরা অভিনয় বলে মনে করেন তিনি। দক্ষিণের নায়িকা সিল্ক স্মিতার জীবনের ওপর তৈরি হয়েছিল ‘দ্য ডার্টি পিকচার’। পরিচালক মিলান লুধিয়ানা চরিত্রটি করার জন্য তাঁকে বলেছিলেন তার অভিনয় দেখে যেন দর্শক বুঝতে পারেন তাঁর জীবনের সংগ্রাম। ‘তুমহারি সুলু’ সাড়া জাগানো না হলেও দর্শকরা পছন্দ করেছেন। একজন গৃহবধূ কীভাবে কর্মজীবন এবং গার্হস্থ্যজীবনের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে চলেন সেটাই ছবির বিষয়বস্তু।