‘ময়নাতদন্তের’ আগেই এভাবে ‘আত্মহত্যা’ বলে মন্তব্য করা হয়ে থাকলে তা অন্যায় হয়েছে, এবার সংবাদমাধ্যমের কাছে জানালেন আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের চেস্ট মেডিসিনের এইচওডি ডাঃ অরুণাভ দত্ত চৌধুরী। বৃহস্পতিবার রাতে আরজিকরের চারতলার সেমিনার হলে নৃশংসভাবে খুন করা হয় ডাক্তারি ছাত্রীকে। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের তরফে ফোন করে বলা হয়েছিল, মেয়ে আত্মহত্যা করা হয়েছে। এমনকী মেডিক্যালে আসার পর তাঁদের প্রথমে দেহও দেখতে দেওয়া হয়নি। টানা ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়েছিল।
ওই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের চেস্ট মেডিসিনের এইচওডি ডাঃ অরুণাভ দত্ত চৌধুরী বলেন, “আমি ওই ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। মেয়েটির বাড়ির ফোন নম্বর জোগাড় করার পর সহকারী সুপার বাড়িতে ফোন করে মৃত্যুর খবর দিয়েছিলেন। তবে ময়নাতদন্তের আগে এভাবে না জেনে কেউ আত্মহত্যার কথা বলে থাকে তাহলে সেটা অন্যায় হয়েছিল।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই এ ব্যাপারে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ইতিমধ্যে তদন্তে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারপরই আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের চেস্ট মেডিসিনের এইচওডির এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। অরুনাভবাবু আর ও বলেন, “সেমিনার রুমে ক্লাস হয়। পড়াশোনা করে পড়ুয়ারা। ঘটনার দিনও বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ক্লাস হয়েছে। তারপর সাড়ে আটটায় দরজায় তালা দিয়ে দেওয়া হয়। চাবি থাকে নার্সদের কাছে। ওই দিন কখন আবার কে সেমিনার রুম খুলল বুঝতে পারছি না।” এরপরেই হাসপাতালের ভেতরের কেউ এই ঘটনায় জড়িত কিনা সেই প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। উত্তরে ডাঃ অরুণাভ দত্ত চৌধুরী বলেন, “আমি সিবিআই নই।”