শনিবার রাতে প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী কে নটবর সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। তিনি গুরুগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার রাত ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
নটবর সিং বরাবরই গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। তিনি রাজীব গান্ধীর সময় থেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে একাধিক মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন। কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ সরকারের আমলে ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তিনি ১৯৩১ সালে রাজস্থানের ভরতপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন আমলা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি রাজনীতিতে আসেন। জানা গিয়েছে, ১৯৫৩ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন নটবর সিং। এরপর ব্রিটেনে ভারতের ডেপুটি কমিশনার হিসেবে তিনি নিযুক্ত হন। তাঁর সেই কার্যকালের মেয়াদ ছিল ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত। এরপর ১৯৮০ সালে তাঁকে পাকিস্তানে ভারতের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত করা হয়। পরে তিনি এই পদে ইস্তফা দিয়ে কংগ্রেসে যোগদান করে রাজনীতিতে নামেন।
নটবর ১৯৮৪ সালে রাজস্থানের ভরতপুর কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোটে জয়ী হন। ১৯৮৫-৮৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মন্ত্রিসভায় তিনি কয়লা, ইস্পাত, খনি ও কৃষির মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বে সামলেছেন। এছাড়া ১৯৮৬-৮৯ সাল পর্যন্ত তিনি বিদেশমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলে। এরপর বিদেশ মন্ত্রক সম্পর্কে উপযুক্ত অভিজ্ঞতা থাকায় ২০০৪ সালে ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় এলে ফের তিনি এই দফতরের দায়িত্ব পান। ২০০৪ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ইউপিএ সরকারের আমলে নটবর বিদেশমন্ত্রী ছিলেন। সেসময় বিরোধীরা বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে। তারপরই বিদেশমন্ত্রীর পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেন।