সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত জানাচ্ছেন, নীতীশ যে পক্ষেই থাকুন না কেন, আগামী নির্বাচনে তাঁর দল সংযুক্ত জনতা দলের হার নিশ্চিত। ২০২৫ সালেও নীতীশ এনডিএ জোটের শরিক থাকলে, তার লাভ জন সুরজই পাবে বলেও দাবি পিকের।
মদ নিষেধাজ্ঞা তোমার পেছনে শনিবার এ বিষয়ে প্রশান্তের যুক্তি, ‘বিশ্বের বহু দেশেই আগে মদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, কিন্তু তাতে লাভ কিছুই হয়নি। বরং ক্ষতিই হয়েছে। মদ নিষিদ্ধ করার নামে গান্ধিজির নামেও নানা অপপ্রচার চালিয়েছে নীতীশের দল।’ পিকে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘জন সুরজ’ সরকার গঠনের সুযোগ পেলে এক ঘণ্টার মধ্যেই বদল আনা হবে আবগারি নীতিতে।
পিকের আরও দাবি, জন সুরজ ভোট রাজনীতির মাঠে নামলে নীতীশ কুমারের দল ২০টির বেশি আসন পাবে না! আগামী নির্বাচনে নিশ্চিত ভাবে তাঁর দল ক্ষমতায় আসতে চলেছে বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি। কেন? প্রশ্ন করলেই অতীতে নির্বাচনী ফলাফল বিচারে নিজের দক্ষতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পিকে বলছেন, ‘‘কেউ যদি অন্যকে জেতাতে পারে, তা হলে নিজে কেন জিততে পারবে না?’’
আগামী ২ অক্টোবর থেকে প্রশান্ত কিশোরের ‘জন সুরজ অভিযান’ রাজনৈতিক দল হিসাবে উন্নীত হতে চলেছে। গান্ধিজয়ন্তীর দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজনৈতিক দল হিসাবে ঘোষণা করা হবে ‘জন সুরজ অভিযান’কে। নাম দেওয়া হবে ‘জন সুরজ’ দল। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন প্রশান্ত।
প্রশান্ত কিশোর বিভিন্ন মহলে পরিচিত ভোটকুশলী ‘পিকে’ হিসাবেই। সেই প্রশান্তই এ বার বিহারে নয়া রাজনৈতিক দল নিয়ে হাজির। ২ অক্টোবর দলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে আগামী কয়েক সপ্তাহে বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। এই কয়েক সপ্তাহে ‘জন সুরজ অভিযান’-এর পদাধিকারীদের নিয়ে রাজ্য স্তরের আটটি বৈঠক করবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা, নেতৃত্বের পরিকাঠামো তৈরি করা, দলের গঠনতন্ত্রের খসড়া তৈরি করা-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হবে ওই বৈঠকগুলিতে।