• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মৃত্যুপুরী ওয়ানাড,  ‘জাতীয় বিপর্যয়’ সহ ৩ দাবিতে সরব রাহুল

বৃষ্টি-ভূমিধসে মৃত্যুপুরী ওয়ানাড। সরকারি হিসেবে কেরলের ওয়ানড়ে ভয়াবহ ভূমিধস প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ২২৪ জনের। যদিও বেসরকারি হিসেব বলছে মৃতের সংখ্যা ৪০০ পেরিয়ে গিয়েছে। এত বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় অতীতে কবে ঘটেছে মনে করতে পারছে না দেশ। ওয়ানডের এই বিপদে দুর্গতদের পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিকে। বোন প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে ঘুরে দেখেছেন ওয়ানডের ত্রাণশিবিরে আশ্রয়

বৃষ্টি-ভূমিধসে মৃত্যুপুরী ওয়ানাড। সরকারি হিসেবে কেরলের ওয়ানড়ে ভয়াবহ ভূমিধস প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ২২৪ জনের। যদিও বেসরকারি হিসেব বলছে মৃতের সংখ্যা ৪০০ পেরিয়ে গিয়েছে। এত বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় অতীতে কবে ঘটেছে মনে করতে পারছে না দেশ। ওয়ানডের এই বিপদে দুর্গতদের পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিকে। বোন প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে ঘুরে দেখেছেন ওয়ানডের ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলোর অবস্থা। দলের তরফে আশ্বাস দিয়েছেন ওয়ানাড ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ পরিবারকে বাড়ি তৈরী করে দেওয়ার। এবার আরেক দাবি করলেন রাহুল। ওয়ানড়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি তুললেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি ।

বুধবার সংসদে জিরো আওয়ারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল বলেন, ‘ওয়ানড়ে ভয়াবহ ভূমিধসের পর আমি নিজে সেখানে গিয়ে গোটা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছি। যে যে জায়গায় ভূমিধস নেমেছিল তার প্রতিটি জায়গায় গিয়ে ঘটনা চাক্ষুস করেছি আমি। প্রায় ২ কিলোমিটার পাহাড়ি এলাকা ধসে গিয়েছে। নদী, পাথর ও কাদায় ভরে গিয়েছে গোটা এলাকা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে গোটা পরিবার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন মাত্র একজন বেঁচে গিয়েছেন। যে বেঁচে গিয়েছে সে হয়ত নাবালক।’ এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে যারা সেই সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের ধন্যবাদও জানান রাহুল। এবং সংসদে তিনি আবেদন জানান, ওয়ানড়ে যে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে তাকে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করা হোক।

এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে সরকারের কাছে মূলত ৩টি আবেদন জানান রাহুল গান্ধি । প্রথমত, এই দুর্ঘটনার জেরে শত শত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক সরকার। দ্বিতীয়ত, যারা যারা দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের শোকাহত পরিবারগুলির জন্য আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো হোক। এবং তৃতীয়ত, ওয়ানড় ভূমিধসকে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ ঘোষণা করুক সরকার।

গত ৩০ জুলাই মধ্যরাতে ভয়াবহ ধস নামে ওয়ানাড়ের পাহাড়ি এলাকায়। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় গোটা এলাকা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধারকাজে নামে দেশের তিন সেনা। কার্যত রাতারাতি চুরামালা ও মুন্ডাক্কাই গ্রামের মধ্যে বেইলি ব্রিজ তৈরি করে উদ্ধারকাজ শুরু করে সেনা। সরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা ২২৪। ১৮৯ জনের দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। যদিও বেসরকারি মতে সংখ্যাটা ৪০০ পেরিয়ে গিয়েছে।