অবৈধ সম্পর্ক জানাজানি হতেই বউদিকে পুড়িয়ে মেরেছিল দেবর। সেই ঘটনায় অবশেষে দোষী সাব্যস্ত হল দেওর। বুধবার অভিযুক্ত দেবরকে দোষী সাব্যস্ত করেন পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক অনির্বাণ রায়।
ঘটনটি মন্তেশ্বর থানার সাহাপুরের। মৃত কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে বসবসবাসকারী খোকন হাজরার স্ত্রী চাঁপা হাজরা গ্রামে তার দেবর গৌতম হাজরা এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন। অভিযোগ দেওর গৌতম হাজরার সঙ্গে চাঁপাদেবীর অবৈধ সম্পর্ক তৈরী হয়। ২০১৪ সালের ৭ নভেম্বর রাতে দেওর গৌতম হাজরা চাঁপাদেবীর ঘরে ঢোকে। বিষয়টি টের পান গৌতমের স্ত্রী। তিনি ঘরে ঢুকে খাটের নীচ থেকে স্বামী গৌতম হাজরাকে টেনে বের করেন। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়। গৌতমের স্ত্রী বিষয়টি বাড়ি এবং গ্রামে জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এরপরই গৌতম নিজেকে বাঁচাতে বৌদির হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। উক্ত ঘটনায় বধূর বাপের বাড়ির লোকজন মন্তেশ্বর থানায় স্বামী খোকন হাজরা, দেওর গৌতম হাজরা সহ ৯’জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই মামলায় দীর্ঘ এক দশক ধরে বিচার প্রক্রিয়া চলার পর অবশেষে গৌতম দোষী সাব্যস্ত হল। মামলার সরকারি আইনজীবী সিদ্ধার্থশঙ্কর মণ্ডল বলেন, হাসপাতালে ওই বধূ মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দেন। এছাড়াও মৃতার ছেলে সহ ১৮ জন সাক্ষ্য দেন। সমস্ত তথ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে বিচারক গৌতমকে দোষী সাব্যস্ত করেন।