• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিলেন রাষ্ট্রপতি, রদবদল হল বাংলাদেশের সেনা‍বাহিনীতে

ঢাকা, ৬ অগাস্ট –   হাসিনা সরকারের পত‍নের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগেই বড় ধরনের রদবদল হল বাংলাদেশের সেনা‍বাহিনীতে। দেশের টেলিকমিউনিকেশন ‍ব্য‍বস্থার দায়িত্বে থাকা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে সরিয়ে দেওযা হয়েছে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মেজর জেনারেল রাইদুর রহমান। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার জনসংযোগ দফতর এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিনের অনুমোদন পেয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এই রদবদলের নির্দেশ কার্যকর করেছেন। এদিকে আন্দোলনরত মানুষের দা‍বি মেনে ‍বাংলাদেশের সংসদ ভেঙে দিলেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহা‍বুদ্দিন। আন্দোলনকারী ছাত্রদের দা‍বি ছিল, মঙ্গল‍বার দুপুর ৩ টের মধ্যে সংসদ ভেঙে দিতে হ‍বে। দা‍বি না মানা হলে ‍বাংলাদেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মতো পরিস্থিতি হ‍বে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহা‍বুদ্দিনের। এরপরই নির্ধারিত সময়ের আগেই ‍বাংলাদেশের সংদ ভেঙে দেওয়ার কথা জানান রাষ্ট্রপতি। মঙ্গল‍বার জেল থেকে মুক্তি পেলেন ‍বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। প্রসঙ্গত, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এ‍বং ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত মোট ১০ ‍বছর ক্ষমতায় ছিলেন খালেদা জিয়া। বাংলাদেশের সেনা‍বাহিনী থেকে অপসারিত   এবং  বদলি হওয়া আধিকারিকেরা অধিকাংশই সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত। মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অ‍ব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‍বাংলাদেশের প্রতি‍বাদী ছাত্রদের দা‍বি ছিল, শেখ হাসিনার কথায় ‍বার‍বার তাঁদের আন্দোলন দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান। প্রসঙ্গত, মেজর জেনারেল জিয়াউলের বিরুদ্ধে ফোনে আড়িপাতা এবং গুপ্তহত্যায় হাসিনাকে মদত দেওয়ার সরাসরি অভিযোগ তোলেন পড়ুয়া ও বিরোধী নেতারা। এছাড়াও সেনার নিয়ন্ত্রণ থেকে সরিয়ে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে ‍বদলি করা হয়েছে কয়েক জন শীর্ষস্তরের আধিকারিককে। সূত্রের খ‍বর, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ সাইফুল আলমকে সেনা থেকে সরিয়ে পাঠানো হয়েছে বিদেশ দফতরে। অপর     এক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ মজিবুর রহমানকে জিওসি আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডে পাঠানো হয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরীকে সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামিমকে সেনাবাহিনীর চিফ অফ জেনারেল স্টাফ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহিনুল হককে কমান্ড্যান্ট, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ এবং মেজর জেনারেল এএসএম রিজওয়ানুর রহমানকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে নয়া নির্দেশিকায়।   ‍বাংলাদেশে আন্দোলনের জেরে সোম‍বারই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ‍বর্তমানে তিনি ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আন্দোলনকারীরা সংসদ ভেঙে দেওয়ার দা‍বি জানাতে শুরু করেন । সোম‍বারই জনতার দখলে চলে যায় সংসদ। তখনই আন্দোলনকারীরা জানায়, মঙ্গল‍বার ‍দুপুর তিনটের মধ্যে যদি সংসদ ভেঙে দেওয়া না হয় ত‍বে আগামী দিনে ‘কঠোর কর্মসূচী’ গ্রহণ করা হ‍বে।   মঙ্গল‍বার রাষ্ট্রপতি ভ‍বনের তরফএ এক প্রেস ‍বি‍বৃতি জারি করা হয় ‍‍বলে ‍বিশেষ সূত্রে খ‍বর। সেই ‍বি‍বৃতিতে তিন বাহিনীর প্রধান , ‍বিভইন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এ‍বং পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করার পর রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

ঢাকা, ৬ অগাস্ট –   হাসিনা সরকারের পত‍নের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগেই বড় ধরনের রদবদল হল বাংলাদেশের সেনা‍বাহিনীতে। দেশের টেলিকমিউনিকেশন ‍ব্য‍বস্থার দায়িত্বে থাকা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে সরিয়ে দেওযা হয়েছে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মেজর জেনারেল রাইদুর রহমান। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার জনসংযোগ দফতর এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিনের অনুমোদন পেয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এই রদবদলের নির্দেশ কার্যকর করেছেন। এদিকে আন্দোলনরত মানুষের দা‍বি মেনে ‍বাংলাদেশের সংসদ ভেঙে দিলেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহা‍বুদ্দিন। আন্দোলনকারী ছাত্রদের দা‍বি ছিল, মঙ্গল‍বার দুপুর ৩ টের মধ্যে সংসদ ভেঙে দিতে হ‍বে। দা‍বি না মানা হলে ‍বাংলাদেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মতো পরিস্থিতি হ‍বে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহা‍বুদ্দিনের। এরপরই নির্ধারিত সময়ের আগেই ‍বাংলাদেশের সংদ ভেঙে দেওয়ার কথা জানান রাষ্ট্রপতি। মঙ্গল‍বার জেল থেকে মুক্তি পেলেন ‍বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। প্রসঙ্গত, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এ‍বং ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত মোট ১০ ‍বছর ক্ষমতায় ছিলেন খালেদা জিয়া।


বাংলাদেশের সেনা‍বাহিনী থেকে অপসারিত   এবং  বদলি হওয়া আধিকারিকেরা অধিকাংশই সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত। মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অ‍ব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‍বাংলাদেশের প্রতি‍বাদী ছাত্রদের দা‍বি ছিল, শেখ হাসিনার কথায় ‍বার‍বার তাঁদের আন্দোলন দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান। প্রসঙ্গত, মেজর জেনারেল জিয়াউলের বিরুদ্ধে ফোনে আড়িপাতা এবং গুপ্তহত্যায় হাসিনাকে মদত দেওয়ার সরাসরি অভিযোগ তোলেন পড়ুয়া ও বিরোধী নেতারা।

এছাড়াও সেনার নিয়ন্ত্রণ থেকে সরিয়ে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে ‍বদলি করা হয়েছে কয়েক জন শীর্ষস্তরের আধিকারিককে। সূত্রের খ‍বর, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ সাইফুল আলমকে সেনা থেকে সরিয়ে পাঠানো হয়েছে বিদেশ দফতরে। অপর     এক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ মজিবুর রহমানকে জিওসি আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডে পাঠানো হয়েছে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরীকে সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামিমকে সেনাবাহিনীর চিফ অফ জেনারেল স্টাফ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহিনুল হককে কমান্ড্যান্ট, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ এবং মেজর জেনারেল এএসএম রিজওয়ানুর রহমানকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে নয়া নির্দেশিকায়।
 
‍বাংলাদেশে আন্দোলনের জেরে সোম‍বারই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ‍বর্তমানে তিনি ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আন্দোলনকারীরা সংসদ ভেঙে দেওয়ার দা‍বি জানাতে শুরু করেন । সোম‍বারই জনতার দখলে চলে যায় সংসদ। তখনই আন্দোলনকারীরা জানায়, মঙ্গল‍বার ‍দুপুর তিনটের মধ্যে যদি সংসদ ভেঙে দেওয়া না হয় ত‍বে আগামী দিনে ‘কঠোর কর্মসূচী’ গ্রহণ করা হ‍বে।
 
মঙ্গল‍বার রাষ্ট্রপতি ভ‍বনের তরফএ এক প্রেস ‍বি‍বৃতি জারি করা হয় ‍‍বলে ‍বিশেষ সূত্রে খ‍বর। সেই ‍বি‍বৃতিতে তিন বাহিনীর প্রধান , ‍বিভইন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এ‍বং পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করার পর রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।