ঢাকা: শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন ছেড়ে চপারে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেন হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা। এমন রাজনৈতিক সংকট কাটাতে নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। সেখানে অন্যান্য বিদ্বজ্জনদের সঙ্গে রয়েছেন আসিফ নজরুলও। পেশায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক। গত মাস থেকে শুরু হওয়া কোটা বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। আন্দোলনের শুরু থেকেই পড়ুয়াদের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছেন। গত শুক্রবারও তাঁকে ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিতে দেখা যায়।
তবে সোমবার সকালেই তিনি আহ্বান জানান, দেশের পরিস্থিতি যাই হোক না কেন সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে হবে। সেই সঙ্গে বাঁচাতে হবে মন্দিরগুলোকেও। বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অশান্তি হলেই দেখা যায় ক্ষোভের আগুনে পুড়ছে হিন্দু এলাকা, মন্দির। হামলা হচ্ছে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপরে। সেরকম অনভিপ্রেত ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য শিক্ষার্থীদের আগাম সতর্ক করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তারপরেই আসিফ নজরুলকে ডাকা হয়েছে সেনার বিশেষ বৈঠকে।