• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

‘দুঃখিত’ অখিল, যদিও দায় চাপালেন মহিলা রেঞ্জারের ঘাড়েই

বন দফতরের ওই আধিকারিকের ব্যবহারের কারণেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বলে মনে করেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিনিধি: তাজপুরে মহিলা বন আধিকারিককে কুকথা বলার ঘটনায় অবশেষে অনুতপ্ত রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি স্বীকার করে নিলেন, মন্ত্রিসভার দায়িত্বশীল সদস্য হিসাবে মহিলা বনকর্মীর সঙ্গে ওই আচরণ করা তাঁর উচিত হয়নি। এজন্য তিনি দুঃখপ্রকাশও করেছেন। তবে অনুতপ্ত হলেও অখিল গোটা ঘটনার দায় চাপিয়েছেন সেই আধিকারিকের উপরেই। বন দফতরের ওই আধিকারিকের ব্যবহারের কারণেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বলে মনে করেন তিনি। শনিবার অখিলের আচরণ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। মহিলা আধিকারিককে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, নিজের আচরণের জন্য এতটুকুও অনুতপ্ত নন। অখিলের বক্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও। দল যে তাঁর পাশে নেই, তা বোঝা গিয়েছিল। এমনকি, খোদ মুখ্যমন্ত্রীও অখিলের আচরণে বিরক্ত বলে শোনা গিয়েছিল।

এ প্রসঙ্গে রবিবার অখিল বলেন, ‘‘তাজপুরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মন্ত্রী হিসাবে আমি আলোচনা করতে বলেছিলাম। নিজেও উত্তেজিত হয়ে পড়ি। বন আধিকারিককে আমি যে কথা বলেছি, তা অনুচিত। মন্ত্রিসভার দায়িত্বশীল সদস্য হিসাবে ওই কথা আমার বলা ঠিক হয়নি। পরবর্তীকালে তার জন্য আমি দুঃখও পেয়েছি। আমি এই কথা বলার জন্য অনুতপ্ত।’’ কুণালের সমালোচনা প্রসঙ্গে অখিল যোগ করেন, ‘‘উনি দলের মুখপাত্র। দলের কথা জানিয়েছেন। আমি আমার কথা জানালাম।’’

যদিও ঘটনার দায় রেঞ্জারের উপর চাপান অখিল। বলেন, ‘‘রেঞ্জার মনীষা সাউ কারও কথা শোনেন নি। তাঁর জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেদিন আমি ওখানে গিয়ে সামাল না দিলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যেত। গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল। এই রেঞ্জারকে জেলা প্রশাসনের কেউ পছন্দ করেন না।’’