লন্ডন, ৫ আগস্ট: অভিবাসন বিরোধী আন্দোলনের জেরে অশান্ত হয়ে উঠল ব্রিটেন। উত্তপ্ত একাধিক এলাকা। সম্প্রতি ব্রিটেনের সাউথপোর্ট-এ একটি নাচের ক্লাসে হামলা চালিয়েছিল এক দুষ্কৃতী। ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হয় ১০টি শিশু। ঘটনার সূত্রপাত এখান থেকেই। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পর ব্রিটেনে রটে যায়, সাউথপোর্টের ওই হামলাকারী একজন কট্টরপন্থী ইসলামিক ও একজন অভিবাসী। তারপর থেকেই ব্রিটেনে অভিবাসন বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে এই ব্যাপারে পুলিশ আন্দোলনকারীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা দাবি করে, হামলাকারীর জন্ম ব্রিটেনেই। এবং তার এই হামলার পিছনে কোনও জঙ্গি মদত ছিল না। তা সত্ত্বেও আন্দোলনকারীদের শান্ত করা সম্ভব হয়নি। তারা ক্রমাগত বিক্ষোভ দেখাতেই থাকে। এই আন্দোলন ক্রমশ হিংসাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। যার জেরে ব্রিটেনের লিভারপুল, ব্ল্যাকপুল, ম্যাঞ্চেস্টার, ব্রিস্টলে ডানপন্থীরা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। ঘটনায় বেশ কিছু অভিবাসী আক্রান্ত হয়েছেন। সূত্রের দাবি, তাঁদের গায়ের রং দেখে নিগ্রহ করা হচ্ছে। তাদের দোকান ভাঙচুর করা হচ্ছে। সাউথ ইয়র্ক শায়ারে একটি হোটেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। রবিবার এই আন্দোলনের মাত্রা ছাড়িয়ে যায় বলে সূত্রের দাবি। ২০১১ সালের পর ব্রিটেনে এটাই সব থেকে বড় আন্দোলন বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহল।
এদিকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এই আন্দোলন নিয়ে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতদের কাউকেই রেয়াত করা হবে না। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে আন্দোলনের মাত্রা চড়িয়েছে আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।