কলকাতা, ২ আগস্ট – জীবন বিমা এবং স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্মলা সীতারামনকে লেখা এই চিঠিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন কর কাঠামোর অন্তর্গত আয়কর আইনের ৮০সি এবং ৮০ডি ধারা অনুযায়ী জীবন বিমা ও স্বাস্থ্য বিমার উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হয়। এই ব্যবস্থা জনবিরোধী।’ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যা্য় লিখেছেন, জীবন বিমা এবং স্বাস্থ্য বিমার উপরে ১৮ শতাংশ জিএসটি চাপানো তাঁকে ‘গভীরভাবে পীড়া’ দিচ্ছে । কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে এই জিএসটি অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘জীবন বিমা এবং স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য মানুষকে আর্থিক নিরাপত্তা দেওয়া। অসুস্থতা, দুর্ঘটনা, মৃত্যুর মতো অনভিপ্রেত পরিস্থিতির শিকার হওয়া ব্যক্তির পরিবারের সাহায্যে এ ধরনের বিমার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই নীতিগত ভাবে এ ধরনের বিমার প্রিমিয়াম থেকে কর আদায় করা উচিত নয়।’ মমতা লেখেন, নতুন কর কাঠামোয় ৮০সি এবং ৮০ ডি ধারায় ছাড় না থাকাও সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে অসুবিধেজনক। এর ব্যখ্যা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, বিমার প্রিমিয়ামের উপর জিএসটি সাধারণ মানুষের উপর আর্থিক বোঝা বাড়িয়ে তোলে। এই অতিরিক্ত বোঝা অনেকের ক্ষেত্রে নতুন বিমা গ্রহণ বা পুরনো বিমা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা আনতে পারে। শুধু জীবন বিমাই নয়, স্বাস্থ্যবিমার উপর থেকে জিএসটি সরানো নিয়েও সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘ কৃষক ও শ্রমিক থেকে শুরু করে সমাজের সবার জন্য জীবন ও স্বাস্থ্য বিমা প্রয়োজন। এর থেকেই স্পষ্ট যে, স্বাস্থ্য ও জীবনবিমাতে জিএসটি–র বোঝা চাপানো সাধারণ মানুষকে আরও বেশি চাপ ও উদ্বেগের মধ্যে রাখবে। আমার অনুরোধ, বেশি সংখ্যক মানুষকে বিমার আওতায় আনার জন্য এই জিএসটি প্রত্যাহার করা হোক এবং সাধারণ মানুষের মানসিক ও অর্থনৈতিক শান্তির জন্য নতুন কর কাঠামোয় ৮০সি , ৮০ডি ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হোক।’ বৃহস্পতিবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে কেন্দ্রের কাছে বিষয়টি নিয়ে দাবি জানিয়েছেন । মমতা লিখেছেন, ‘ জীবন বিমা ও স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়ামের উপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহার করার জন্য আমরা কেন্দ্রের কাছে দাবি জানাচ্ছি। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই আমরা এই দাবি
© 2024 - All rights reserved.