নিজস্ব প্রতিনিধি, দিল্লি: জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমার উপর জিএসটি চাপানোর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামে ১৮ শতাংশ জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে বৃহস্পতিবারই গর্জে উঠেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে সংসদের দুই কক্ষেই অর্থাৎ লোকসভা এবং রাজ্যসভায় আক্রমণাত্মক অবস্থান নিচ্ছেন তৃণমূল সাংসদগণ। তারই পদক্ষেপ হিসেবে লোকসভায় জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামে ১৮ শতাংশ জিএসটি প্রত্যাহার করা হোক, এবার এই বিষয়ক আলোচনার অনুমতি চেয়ে লোকসভার মহাসচিব উৎপল কুমার সিংকে চিঠি লিখলেন বারাসতের চতুর্থবারের তৃণমূল সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার উপর জিএসটি-র ফলে মানুষের স্বাস্থ্য এবং জীবনে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, সেই বিষয়টি কাকলি তুলে ধরেছেন চিঠিতে। সেজন্য লোকসভায় এই বিষয়ক আলোচনার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন কাকলি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী দাবি করেছিলেন, জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামে ১৮ শতাংশ জিএসটি প্রত্যাহার করা হোক। গত ২৯ জুুলাই জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমার উপর জিএসটি চাপানোর বিরুদ্ধে রাজ্যসভায় সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। এরপর বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার অধিবেশনে এই একই বিষয় নিয়ে সরব হন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেনও। দোলা সরাসরি গডকড়ীকে সমর্থন করে বলেন, “আমি গড়করীর প্রস্তাবকে সমর্থন করি। হয় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তা মানুন, না হলে পদত্যাগ করুন।” এরপরই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে লিখেছিলেন, “এই ক্ষেত্রে জিএসটি নেতিবাচক। তার কারণ, মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রেই বিরূপ প্রভাব ফেলছে। কেন্দ্রীয় সরকার যদি এই জনবিরোধী জিএসটি প্রত্যাহার না করে, তাহলে আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হব।”
জানা গিয়েছে, বিমায় জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে লোকসভায় মুলতবি প্রস্তাব আনছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্স হ্যান্ডলে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ২৯ জুলাই সংসদে প্রথম এই বিষয়টির উত্থাপন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসই। এবার এগিয়ে এলেন কাকলি। তিনি লোকসভার মহাসচিবকে চিঠি লিখে বিমায় জিএসটি প্রত্যাহার বিষয়ক আলোচনার ইচ্ছে প্রকাশ করে অনুমতি চাইলেন।