• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়াকে গুলি  অপর এক শিশু

পাটনা, ৩১ জুলাই – স্কুলের মধ্যে তৃতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়াকে গুলি করল নার্সারির এক শিশু। বুধবার সকালে এমনই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে বিহারের এক স্কুলে। গুরুতর আহত অবস্থায় ১০ বছর বয়সি ওই বালককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনায় হতভম্ভ স্কুলের শিক্ষক থেকে খোদ পুলিশ কর্তারাও। ঘটনাটি ঘটেছে সুপৌল জেলায় লালপাত্তি এলাকায় অবস্থিত সেন্ট জন

পাটনা, ৩১ জুলাই – স্কুলের মধ্যে তৃতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়াকে গুলি করল নার্সারির এক শিশু। বুধবার সকালে এমনই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে বিহারের এক স্কুলে। গুরুতর আহত অবস্থায় ১০ বছর বয়সি ওই বালককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনায় হতভম্ভ স্কুলের শিক্ষক থেকে খোদ পুলিশ কর্তারাও।

ঘটনাটি ঘটেছে সুপৌল জেলায় লালপাত্তি এলাকায় অবস্থিত সেন্ট জন বোর্ডিং স্কুলে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে স্কুলের ব্যাগে করে পিস্তল নিয়ে এসেছিল নার্সারির ওই পড়ুয়া। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্কুলেরই তৃতীয় শ্রেণির এক বালককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সে। গুলি লাগে তার ডান হাতে। স্কুলের মধ্যে গুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়ায়। শিক্ষকরা এসে দেখেন আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এক বালক। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে শুয়ে সংবাদ মাধ্যমকে ওই বালক জানায়, ‘আমি আমার ক্লাসের দিকে যাচ্ছিলাম। সেই সময় হঠাৎ ব্যাগ থেকে বন্দুক বের করে ও। আমি তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে আমাকে গুলি করে।’ একইসঙ্গে ওই বালকের দাবি, তার সঙ্গে কখনও ঝগড়া বা মারামারি হয়নি নার্সারির ওই শিশুর।

এদিকে এই ঘটনার পর রীতিমতো আতঙ্ক ছড়ায় অভিভাবকদের মধ্যে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করার পাশাপাশি গাফিলতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্কুলের প্রিন্সিপালকে। পাশাপাশি হামলাকারী ৫ বছর বয়সি ওই শিশু ও তার বাবার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামতে হয় পুলিশকে।

কীভাবে বন্দুক নিয়ে শিশুটি স্কুলে প্রবেশ করল তা ভাবাচ্ছে পুলিশকে। শুধু তাই নয়, এমন এমন ঘটনা যাতে দ্বিতীয়বার না ঘটে তার জন্য প্রতিটি স্কুলের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে পুলিশ। জানানো হয়েছে, বাচ্চারা স্কুলে ঢোকার আগে যেন তাদের ব্যাগে নিষিদ্ধ কিছু রয়েছে কিনা তা যেন পরীক্ষা করে দেখা হয়।