• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

বিধানসভায় বাংলা ভাগ বিরোধী প্রস্তাব আনছে তৃণমূল, সোমের আলোচনায় থাকবে বিজেপিও

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বর্তমানে শাসক-বিরোধী সংঘাতে উত্তাল বিধানসভা। সোমবার থেকেই বিধানসভার পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে বেসামাল। বাংলা ভাগ প্রসঙ্গে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে সোমেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এর মাঝে বিধানসভায় ফের বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনতে চলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী সোমবার ১৮৫ নম্বর ধারায় বিধানসভায় এই প্রস্তাব আনবে তৃণমূলের পরিষদীয় দল।

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বর্তমানে শাসক-বিরোধী সংঘাতে উত্তাল বিধানসভা। সোমবার থেকেই বিধানসভার পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে বেসামাল। বাংলা ভাগ প্রসঙ্গে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে সোমেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এর মাঝে বিধানসভায় ফের বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনতে চলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী সোমবার ১৮৫ নম্বর ধারায় বিধানসভায় এই প্রস্তাব আনবে তৃণমূলের পরিষদীয় দল। ওই দিন বিধানসভায় বন মহোৎসবের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূলের পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাব সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নেবেন মুখ্যমন্ত্রীও। আলোচনায় অংশ নেবে বিজেপিও, জানিয়েছে বিজেপির পরিষদীয় দল। রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, আগামী সোমবার বিধানসভার চলতি অধিবেশনের শেষ দিনে বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে প্রস্তাব এনে আলোচনা হবে। এমনটাই ঠিক হয়েছে বিধানসভার কার্যবিবরণী কমিটির বৈঠকে। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই একই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছিল রাজ্য বিধানসভায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মাইক বন্ধ করে দিয়ে অপমান করার প্রতিবাদে সোমবার বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনে তৃণমূল। বিজেপি এর বিরোধিতা করে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করলে পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে ওঠে। সে সময়ই বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বাংলা ভাগের প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন। বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আসুক বাংলা ভাগ করতে। দেখিয়ে দেব কী করে রুখতে হয়! ভোট চলে গেলেই ভাগাভাগি ইস্যু নিয়ে আসা হয়। এক জন বলছেন, মুর্শিদাবাদ-মালদহ ভেঙে দাও। কেউ বলছেন, অসমের তিনটি জেলাকে নিয়ে নতুন কিছু করো। কেউ আবার উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে যুক্ত করে দিতে বলছেন। চার মন্ত্রী বলেছেন উত্তরবঙ্গ ভাগের কথা। আমি ধিক্কার জানাই। আসুক বাংলা ভাগ করতে, কী করে রুখতে হয় দেখিয়ে দেব।”

ঘটনার সূত্রপাত হয় মূলত গত সপ্তাহে। বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে উত্তরবঙ্গের কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রকল্পগুলির অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। যা থেকেই নতুন করে বাংলা ভাগ সংক্রান্ত বিতর্কের সূত্রপাত। আবার গোড্ডার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বিহারের কাটিহার, আরারিয়া, কিষানগঞ্জের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, মুর্শিদাবাদ জেলাকে নিয়ে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ার দাবি তুলে দিয়েছেন। মুর্শিদাবাদ জেলার দুই বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ ও কাঞ্চন মৈত্র আবার মুর্শিদাবাদ নিয়ে নিশিকান্তের দাবির সপক্ষে সওয়াল করেছেন। এই জটিল পরিস্থিতিতে বিজেপি বাংলা ভাগের পথেই হাঁটতে চাইছে বলে দাবি তৃণমূলের। সেই বিষয়ক আলোচনা চেয়েই এবার বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনতে চলেছে তৃণমূল। ‘বিধানসভাকে এড়িয়ে বাংলা ভাগ করার কথা বলা যাবে না’, বিধানসভায় হুঙ্কার দিয়েছিলেন মমতার। মূলত সেই কারণেই এবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে তৃণমূল।