কটক, ৩০ জুলাই– সবে পুরীর জগন্নাথদেবের রত্নভাণ্ডার থেকে কিছু সম্পত্তি বার করে আনা হয়েছে৷ আর এর মধ্যেই সাক্ষাৎ নারায়ণ জগন্নাথদেবের রত্নভাণ্ডারে চুরি! রত্নভাণ্ডারের সম্পদ এবং তা মেরামতের বিষয়ে গঠিত বিশেষ কমিটির এক সদস্য এই সন্দেহ ও অভিযোগ তুলেছেন৷ তিনি বলেছেন, রত্নভাণ্ডারের দ্বিতীয় চাবি বা ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে তালা খুলে আগেই কিছু মূল্যবান গয়না ও সামগ্রী সরিয়ে ফেলা হয়ে থাকতে পারে৷
দ্বাদশ শতকের পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার প্রায় ৪৬ বছর পর খোলা হয় সম্প্রতি৷ বিজেপি নেতৃত্বাধীন নবগঠিত রাজ্য সরকার আগের কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গডে় দেয়৷ এই কমিটির তদারকিতে রত্নভাণ্ডারের ভিতর ও বাহির প্রকোষ্ঠ খোলা হয়৷ এবং সেখান থেকে সমস্ত অলঙ্কার, সোনাদানা, মুদ্রা সরিয়ে অস্থায়ী স্ট্রংরুমে স্থানান্তরিত হয় গত ১৪ ও ১৮ জুলাই৷ সন্দেহ প্রথম দানা বাঁধে যখন কমিটি ১৪ জুলাই তিনটি তালা ভাঙে তখন৷ সেই সময়ই ধরা পডে় মন্দির প্রশাসনের কাছে যে ডুপ্লিকেট চাবি ছিল, তা কাজ করছে না৷ সোমবার চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ রথের পৌরোহিত্যে কমিটির বৈঠকের পর এক সদস্য জগদীশ মহান্তি বলেন, ডুপ্লিকেট চাবি কাজ না করায় তালা ভাঙতে হয়েছিল৷ এতেই প্রমাণ হয় যে, এর পিছনে অপরাধমূলক উদ্দেশ্য ছিল৷ মূল্যবান সামগ্রী হাতানোর জন্য আগেই কিছু মাল সরিয়ে ফেলাও অসম্ভব নয় বলে জানান তিনি৷ রত্নভাণ্ডারের ভিতর প্রকোষ্ঠের আসল চাবি গত ২০১৮ সাল থেকে হারিয়ে গিয়েছে৷ যার পরেই তৎকালীন নবীন পট্টনায়ক সরকার ওডি়শা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঘুবীর দাসের নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ দেয়৷
কমিটির সদস্য রাজস্থান ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত আমলা মহান্তি জানান, ফৌজদারি তদন্তের সুপারিশ করার এক্তিয়ার কমিটির নেই৷ ভিতর ভাণ্ডারে রয়েছে তিনটি কাঠের আলমারি, একটি স্টিলের আলমারি, দুটি কাঠের সিন্দুক, একটি লোহার সিন্দুক৷ তার মধ্যে কেবল একটি কাঠের আলমারি তালাবন্ধ ছিল৷