• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

কানওয়ার যাত্রা পথে সাদা চাদরে আবৃত মসজিদ-মাজার, বিতর্কের সৃষ্টি হওয়ায় সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার 

দেরাদুন, ২৭ জুলাই – ফের চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে কানওয়ার যাত্রা। শনিবার উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে দু’টি মসজিদ এবং মাজার সাদা চাদর দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ‘সমস্যা এড়াতে’ এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন। তারপর থেকেই কড়া সমালোচনা শুরু হয় উত্তরাখণ্ড সরকারের। হরিদ্বারের জ্বলপুর এলাকায় বাঁশ পুঁতে সাদা চাদর জড়িয়ে দেওয়া হয় মাজার এবং মসজিদে। এগুলি কানওয়ার

দেরাদুন, ২৭ জুলাই – ফের চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে কানওয়ার যাত্রা। শনিবার উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে দু’টি মসজিদ এবং মাজার সাদা চাদর দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ‘সমস্যা এড়াতে’ এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন। তারপর থেকেই কড়া সমালোচনা শুরু হয় উত্তরাখণ্ড সরকারের।

হরিদ্বারের জ্বলপুর এলাকায় বাঁশ পুঁতে সাদা চাদর জড়িয়ে দেওয়া হয় মাজার এবং মসজিদে। এগুলি কানওয়ার যাত্রা রুটেই পড়ে। তবে কোনওরকম প্রশাসনিক নির্দেশিকা ছাড়াই সাদা চাদর দিয়ে এভাবে মসজিদ-মাজার ঢেকে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন মসজিদের মৌলানা এবং মসজিদের রক্ষক।
 
স্থানীয় মাজারের রক্ষক শাকিল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কেউ কোনও যোগাযোগ করেনি। আমাদের আগে থেকে বলা হয়নি এভাবে সাদা চাদর দিয়ে মাজার ঢেকে দেওয়া হবে। কানওয়াররাই অনেক ক্ষেত্রে আমাদের ধর্মীয় স্থানে এসে আশ্রয় নেন। আমরাও তাঁদের যথাসম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করি।’
 
হরিদ্বারের সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক এবং জেলাশাসক এ প্রসঙ্গে কোনও অফিসিয়াল বিবৃতি দেননি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যপাল মহারাজ ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এলাকায় শান্তি বজায় রাখতেই এই সাদা চাদরের ব্যবহার।’

বিষয়টি নিয়ে  তীব্র বিতর্ক শুরু হলে  এই সাদা চাদর সরিয়ে নেওয়া হয়। কানওয়ার যাত্রার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশেষ পুলিশ আধিকারিক দানিশ আলি বলেন, ‘রেলওয়ে পুলিশ পোস্টের পক্ষ থেকে আমাদের এই সাদা চাদরগুলি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
 
শনিবার সকাল থেকেই রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়ে যায় হরিদ্বারের এই ঘটনায়। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা নইম কুরেশি বলেন, ‘হরিদ্বারের মুসলিমরা সর্বদাই কানওয়ার যাত্রীদের সাদরে অভ্যর্থনা জানায়। তাদের সাহায্যও করা হয়। এমন পদক্ষেপ এর আগে কখনও নেওয়া হয়নি। হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে কানওয়ার যাত্রাকে কেন্দ্র করে সর্বদাই শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় থাকে।’ প্রাক্তন জেলা পঞ্চায়েত সভাপতি রাও আফাক আলিও এই পদক্ষেপের চূড়ান্ত সমালোচনা করেন। তাঁর প্রশ্ন, ‘ভবিষ্যতে কি মন্দিরগুলিও এভাবে ঢেকে দেওয়া হবে?’ উত্তরাখণ্ড কংগ্রেসের সহ সভাপতি সূর্যকান্ত ধাসমানা ধামি সরকারের এই পদক্ষেপকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অবমাননা বলে উল্লেখ করেন।