দিল্লি, ২৭ জুলাই– একদিকে, রাশিয়া অন্যদিকে, ইউক্রেন৷ দুই ‘বন্ধু’র সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রাখার পথেই হাঁটতে চাইছে দিল্লি৷ সেই ইচ্ছাপূরণে এবার ইউক্রেন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ প্রাক্তন দুই সোভিয়েত দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর এটাই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম কিয়েভ সফর৷
সূত্রের খবর, আগামী মাসেই ইউক্রেন যাচ্ছেন মোদি৷ বিদেশমন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইতি টানার প্রক্রিয়া নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর৷ পাশাপাশি, দ্রুত যুদ্ধবিরতির জন্য কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে দূতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেন মোদি৷ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গত জুন মাসে ইটালিতে অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী৷ পরস্পরকে জডি়য়ে ধরতে দেখা যায় দুই রাষ্ট্রপ্রধানকে৷ বিশ্লেষকদের মতে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং জেলেনস্কির মধ্যে সেতুর কাজ করতে পারেন মোদি৷ কারণ, আমেরিকা এবং পশ্চিমের শান্তি আলোচনাগুলোতে মস্কো আমন্ত্রিত ছিল না৷ থাকলেও পুতিন তা মেনে নিতেন না৷ ফলে, দৌত্যের জন্য স্বাভাবিকভাবেই দিল্লি মস্কোর পছন্দ৷ কিয়েভের সে কথা অজানা নয়৷২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে এই প্রথম ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন মোদি৷ তাৎপর্যপুর্ণ ভাবে, চলতি মাসেই দুদিনের সফরে মস্কোয় গিয়ে পুতিনকে আলিঙ্গন করেন মোদি৷ তবে রুশ প্রেসিডেন্টের সামনেই ইউক্রেনে হামলা এবং শিশুহত্যার নিন্দাও করেছেন৷ তবে নমোর সেই সফর মোটেও ভালভাবে নেয়নি কিয়েভ৷ উষ্মা প্রকাশ করেছিল আমেরিকাও৷ ক্ষুব্ধ জেলেনস্কি বলেছিলেন, ‘বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী এক জন যুদ্ধাপরাধীকে আলিঙ্গন করছেন৷ শান্তিপ্রক্রিয়ায় পক্ষে এটা বিরাট ধাক্কা৷’