• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

আশানুরূপ বৃষ্টি না হলেও চিন্তা নেই, জল জোগান দিতে তৎপর রাজ্য: মানস ভুঁইয়া

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উত্তরবঙ্গে অতিবৃষ্টির জেরে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি৷ অপরদিকে অনেক আগে বর্ষা ঢুকে গেলেও বৃষ্টির ঘাটতি দেখা দিয়েছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে৷ কৃষিকাজের চাহিদা মেটাতে নাভিশ্বাস ফেলছেন কৃষকরা৷ দক্ষিণবঙ্গে এখনও ৪৪ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে চাষাবাদের কাজে জলের ঘাটতি মেটাতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে জল সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন বিভাগ৷ জল ধরো জল

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উত্তরবঙ্গে অতিবৃষ্টির জেরে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি৷ অপরদিকে অনেক আগে বর্ষা ঢুকে গেলেও বৃষ্টির ঘাটতি দেখা দিয়েছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে৷ কৃষিকাজের চাহিদা মেটাতে নাভিশ্বাস ফেলছেন কৃষকরা৷ দক্ষিণবঙ্গে এখনও ৪৪ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে চাষাবাদের কাজে জলের ঘাটতি মেটাতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে জল সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন বিভাগ৷ জল ধরো জল ভরো, মাটির সৃষ্টি ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সারা বছর ধরে হয়েছে কাজ৷ জল ধরে রাখতে ৯১৭৯ টি পুকুর বা ট্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে৷ এরকম আরও বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া৷ এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, দুশ্চিন্তার কারণ নেই৷

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে ৫৭.৩৭ লাখ হেক্টর জমিতে কৃষিকাজ হয়৷ এর মধ্যে চাষের জন্য ৭৬ শতাংশ জমিতে জল সরবরাহ করা হয়েছে৷ এর অনেকগুলি স্টেজ রয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৃষ্টির জল ধরে রেখে সেখান থেকে নোনা জল বের করে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী৷ তাঁর কথায়, বাংলার সব জায়গাতেই জলতীর্থ, মাটির সৃষ্টি, চেক ড্যাম ইত্যাদির সাহায্যে কৃষকদের পাশে দাঁডি়য়েছে জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দপ্তর৷ আশানুরূপ বৃষ্টি না হলেও এই মুহূর্তে কোনও চিন্তা নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী৷ রাজ্য সরকার এরাজ্যের কৃষকদের কল্যাণে বিশেষ করে সেচের জন্য জল জোগান দিতে অতি তৎপর ভূমিকা পালন করে থাকে৷ এই বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি বলে দাবি তাঁর৷ “জল ধরো জল ভরো” প্রকল্পে বিপুল সাড়া পাওয়া গিয়েছে৷ এছাড়াও ‘মাটির সৃষ্টি’ কর্মসূচি অনুযায়ী, সেচের জলের জোগান বাডি়য়ে তুলতেই ২৮৬টি তুলনায় ছোটো নতুন প্রকল্পে পরিকাঠামো গডে় তোলা হয়েছে৷ সেই সঙ্গে বৃষ্টির জল ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷ নলকূপ পরিষেবাও চালু হয়েছে৷ ২,৭১৮.৭৪ হেক্টর জমিতে নতুন করে জলের জোগান দিতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার৷ এবছর সৌরবিদু্যৎ প্রকল্পে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে৷

মন্ত্রী এ প্রসঙ্গে জানান, ৪৭২ টি সৌরবিদু্যৎ চালিত প্রকল্পে ৫,৬১৮.৯৩ হেক্টর জমিতে জলের সুবিধা মিলছে৷ সম্প্রসারিত হয়েছে সেচের জলের জোগান৷ রাজ্য সরকারের তরফেও সেচের উন্নয়নে এই খাতে ৫১১.৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে৷ এর আগে বিভাগীয় আধিকারিক ও সচিব পর্যায়ের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে জলের সমস্যা নিরসনে বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন মন্ত্রী ৷