• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট-এর তালিকায় জায়গা করে নিল অসমের মৈদাম

দিল্লি, ২৬ জুলাই – ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট-এর তালিকায় জায়গা করে নিল অসমের মৈদাম। উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের সমাধিক্ষেত্রগুলিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রথম ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ’ হিসাবে শুক্রবার ঘোষণা করে ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি’। চরাইদেও এলাকার মৈদাম সমাধিক্ষেত্র ‘অসমের পিরামিড’ নাম পরিচিত।   আহোম রাজত্বকালে স্বর্গদেও বা রাজাদের মৃত্যু হলে মিশরের পিরামিডের আদলে তাঁদের ব্যবহার করা এবং প্রিয় জিনিসপত্র-সহ মৃতদেহ সমাধিস্থ করা

দিল্লি, ২৬ জুলাই – ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট-এর তালিকায় জায়গা করে নিল অসমের মৈদাম। উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের সমাধিক্ষেত্রগুলিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রথম ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ’ হিসাবে শুক্রবার ঘোষণা করে ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি’। চরাইদেও এলাকার মৈদাম সমাধিক্ষেত্র ‘অসমের পিরামিড’ নাম পরিচিত।  

আহোম রাজত্বকালে স্বর্গদেও বা রাজাদের মৃত্যু হলে মিশরের পিরামিডের আদলে তাঁদের ব্যবহার করা এবং প্রিয় জিনিসপত্র-সহ মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হত। সমাধির উপরে তৈরি হত পাথর এবং মাটি দিয়ে তৈরী গম্বুজাকৃতির নির্মাণ। ভিতরে ঢোকার জন্য সুড়ঙ্গের মতো প্রবেশপথ থাকত। এগুলিকে বলা হত মৈদাম। ১৩ থেকে ১৯ শতক পর্যন্ত চলা আহোম রাজত্বের ৩৮৬টি মৈদাম এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়েছে। তার মধ্যে ৯০টির রক্ষণাবেক্ষণ চলছে। বর্তমানে চরাইদেওয়ে থাকা মৈদামগুলি পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ ও রাজ্য প্রত্নতত্ত্ব দফতরের অধীন রয়েছে। তারাই এর দেখাশুনো করছে। ২০১৪ সালে মৈদামগুলি ইউনেস্কো হেরিটেজ ক্ষেত্রের তালিকায় ঢোকানোর চেষ্টা শুরু করেছিল অসমের তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। শেষ পর্যন্ত এক দশক পরে সেই উদ্যোগ ফলপ্রসূ হল ।

কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী এই পদক্ষেপের জন্য ইউনেস্কোর উদ্দেশে  জানিয়েছেন, ‘‘এই দিনটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’’ প্রসঙ্গত, ‘অসমের পিরামিড’ নামে পরিচিত মৈদাম সমাধিক্ষেত্রকে গত বছর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ’ হিসাবে মর্যাদা দেওয়ার জন্য ইউনেস্কোর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল  মোদি  সরকার। ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি’র ৪৬তম অধিবেশনে সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।