লখনউ, ২৬ জুলাই– বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিকে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের একটি আদালত৷ শুক্রবার সেই নির্দেশ মেনে উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের এমপি-এমএলএ আদালতে হাজিরা দেন রাহুল৷ এখানে সবপক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে ১২ আগস্ট৷ তবে সেই দিন রাহুলকে সশরীরে হাজিরা থেকে ছাড় দিয়েছে আদালত৷
উল্লেখ্য, রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৮ সালে কর্ণাটক বিধানসভ ভোটের প্রচারে গিয়ে শাহের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন তিনি৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নাকি একটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত বলে দাবি করেছিলেন রাহুল৷ এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা সেসময় বলেন, ‘বিজেপি সুস্থ ও স্বচ্ছ্ব রাজনীতির কথা বলে অথচ দলের সভাপতিই খুনের মামলায় অভিযুক্ত৷’ সেসময় বিজেপি সভাপতি ছিলেন শাহ৷
রাহুলের ওই মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা বিজয় মিশ্র৷ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আদালত রাহুলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে ব্যক্তিগত হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল৷ কিন্ত্ত কংগ্রেস নেতা হাজিরা দেননি৷ একাধিকবার সমন পাঠানো হলেও তিনি সেটা উপেক্ষা করেন৷ শুক্রবার আদালত তাঁকে হাজিরা দেওয়ার ‘শেষ সুযোগ’ দিয়েছিল৷ সেকারণেই রাহুল হাজিরা দিলেন৷
তবে শুধু এই মামলাই নয়. রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে আগেই একাধিক মানহানির মামলা ঝুলে রয়েছে৷ এর আগে বেশ কয়েকটি মামলায় তিনি জামিনও পেয়েছেন৷ তবে গত বছর মোদি পদবি মামলায় বড়সড় সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি৷ ওই মানহানির মামলা সাংসদ পদও খোয়াতে হয়েছিল তাঁকে৷