নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নজীরবিহীন ঘটনা বলা যায় । কলকাতা হাইকোর্টের কোনও আইনজীবীই মনে করতে পারছেন না শেষ কবে এই ঘটনা ঘটেছে। সাধারণত দেশের কোনও হাইকোর্টে কাউকে অস্থায়ী বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করার ২ বছর বাদে তাঁকে স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু সেখানেই সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম বেনজির পদক্ষেপ করল।অস্থায়ী থেকে স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে নিয়োগের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের কলেজিয়ামের সম্মতি থাকলেও এতে মতামত জানাননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এজন্য হাইকোর্টের ন’জন অস্থায়ী বিচারপতিকে স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করল না সুপ্রিম কোর্ট। গত ২৯ এপ্রিল হাইকোর্টের কলেজিয়াম ওই বিচারপতিদের স্থায়ী ভাবে নিয়োগ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের কাছে সুপারিশ করে থাকে ।ওই সুপারিশকে মান্যতা দিল না শীর্ষ আদালত।সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম জানায়, -‘ওই ৯ জন অস্থায়ী বিচারপতিকে এখনই স্থায়ী হিসাবে নিয়োগ করা হচ্ছে না। অস্থায়ী হিসাবে তাঁদের মেয়াদ আরও এক বছরের জন্য বৃদ্ধি করা হল।
আপাতত এক বছরের জন্য হাইকোর্টের অস্থায়ী বিচারপতি হিসাবেই কাজ করবেন বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরী, বিচারপতি পার্থসারথি সেন, বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, বিচারপতি উদয় কুমার, বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্ত, বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্য, বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়, বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায় এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদি। অস্থায়ী বিচারপতি হিসাবে এই নয় বিচারপতির এক বছরের কার্যকালের মেয়াদ শুরু হবে আগামী ৩১ অগস্ট থেকে ।নিয়ম অনুযায়ী , অস্থায়ী বিচারপতিদের স্থায়ী বিচারপতি করার ক্ষেত্রে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর মতো শীর্ষ পদাধিকারীদের মতামত নেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই মতামত জানাতে হয়। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ওই নয় বিচারপতিতে কলকাতা হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি করার ব্যাপারে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মতামত জানাননি মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল।সেজন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ।