• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ায় চুরি করে গৃহস্থকে শায়েস্তা করল চোর

অর্ণব সাহা, জলপাইগুড়ি: জায়গা মত নাকি ভোট পড়েনি। তাই গৃহস্থকে উচিৎ শিক্ষা দিতে বাড়িতে চুরি করে গায়ের জ্বালা মেটাল এক চোর। এই আজব চুরির ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি মহকুমার মাগুরমারি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ আলতা গ্রামে। মঙ্গলবার সকালে আলতাগ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সরকার ও তাঁর স্ত্রী’র ঘুম ভাঙলে তাঁরা টেঁর পান রাতে ঘরে চোর

অর্ণব সাহা, জলপাইগুড়ি: জায়গা মত নাকি ভোট পড়েনি। তাই গৃহস্থকে উচিৎ শিক্ষা দিতে বাড়িতে চুরি করে গায়ের জ্বালা মেটাল এক চোর। এই আজব চুরির ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি মহকুমার মাগুরমারি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ আলতা গ্রামে। মঙ্গলবার সকালে আলতাগ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সরকার ও তাঁর স্ত্রী’র ঘুম ভাঙলে তাঁরা টেঁর পান রাতে ঘরে চোর ঢুকেছিল। ঘরের আসবাবপত্র এলোমেলো। জামাকাপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। আলমারির লকার খোলা। লকার থেকে গায়েব সোনার গয়না, নগদ টাকা। এ পর্যন্ত বিষয়টি একটি সাধারণ চুরির ঘটনাই মনে করছিলেন তাঁরা। কিন্তু পর মুহূর্তেই বাড়ির খাটের ওপর থেকে উদ্ধার হয় একটি চিঠি। আর সেই চিঠিতে ভরে ভরে রাজনৈতিক কথা, হুমকি। এমনকি পাঁচ মাস আগে বিয়ে হওয়া বিশ্বজিৎবাবুর বাড়ির নতুন বউয়ের জন্যও বার্তা রয়েছে সেই চিঠিতে। চোরের লেখা সেই চিঠির বক্তব্য হল, “ভোট আপনারা জায়গা মতো দেননি তার শাস্তি এটাই। আমি পার্টির ছেলে মেরে দেবো আপনার ছেলেকে, সবাইকে শেষ করে দেব, আমি জেল ফেরত আসামী, পার্টির লোক। যদি পরিবারকে বাঁচাতে চান, তাহলে ছেলে ও ছেলের বউকে দূরে কোথাও পাঠিয়ে দিন, সারা জীবনের জন্য।” চিঠিতে আবার তিন দিনের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ফলে ঘটনাটি যতই আজব হোক, হাল্কাভাবে নিতে পারছেন না বিশ্বজিৎবাবু ও তাঁর পরিবার। ইতিমধ্যে ধূপগুড়ি থানায় এব্যাপারে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তাঁরা।

পরিবারের সদস্যরা জানান, মাঝ রাতে ঘরে ঢোকে চোর। তবে বাড়ির গেটে তালা লাগানোই ছিল, কীভাবে ঘরের মধ্যে চোর ঢুকল, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছেই। সেক্ষেত্রে খোলা জানালা দিয়েও চোর ঢুকতে পারে বলে অনুমান তাঁদের। সকালে ঘুম ভাঙলে পরিবারের সদস্যরা টেঁর পান এই চুরির ঘটনা। সেই সঙ্গে চোরের ছেড়ে যাওয়া চিঠিও পান তাঁরা।

অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। চোরের এমন কীর্তিতে তাজ্জব গোটা পাড়া। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “ঘরে ছেলে-ছেলের বউ ছিল। সোনার কানের, গলার নিয়ে গিয়েছে। চিঠিতে লেখা, ছেলে-ছেলের বউকে বাড়ি থেকে অন্যত্র রাখতে হবে। বাড়িতে রাখা যাবে না।”