দিল্লি, ২২ জুলাই – ফের ইতিহাসকে অস্বীকার করার নিদর্শন। পাঠ্যবইয়ে হরপ্পা সভ্যতার নাম বদলে করা হল ‘সিন্ধু – সরস্বতী সভ্যতা’। ইতিহাসকে বিকৃত করার অভিযোগ উঠল ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের বিরুদ্ধে। ভারতীয় সমাজে বর্ণ ও জাতি ব্যবস্থার যে সমীকরণ, সেই বিষয়টিও পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন পাঠ্যের সিলেবাসে ভারতের নিজস্ব মূল মধ্যরেখাও ছিল বলে দাবি করা হয়েছে নয়া পাঠ্যবইয়ে।
পরিবর্তন করা হয়েছে এনসিইআরটি-র ষষ্ঠ শ্রেণির সমাজবিজ্ঞানের বই। করোনার সময় পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে এর আগের পাঠ্যক্রমে বদল ঘটানো হয়। তবে শুক্রবার এনসিইআরটি যে বই প্রকাশ করেছে, তাতে পাঠ্যক্রমের বদল লক্ষ্য করা যায়। ভারতীয় সমাজের বর্ণনায় বেদের উল্লেখ থাকলেও বর্ণ ও জাতিবাদের কোনও উল্লেখ নেই। সমাজে নারী এবং শূদ্রদের যে বেদ চর্চার অধিকার ছিল না, পাঠ্যবই থেকে তাও বাদ দেওয়া হয়েছে। পাঠ্যবইয়ের ভূগোল বিভাগে কালিদাসের ‘কুমারসম্ভব’-এর কবিতা রয়েছে। হিমালয়ের বর্ণনা করার সময় ওই কবিতা ব্যবহার করা হয়েছে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনাল প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর চ্যান্সেলর এম সি পন্থের নেতৃত্বাধীন ১৯ সদস্যের কমিটি এই নতুন পাঠ্যবইয়ের দায়িত্বে ছিল। ওই কমিটিতে ছিলেন লেখিকা সুধা মূর্তি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারপার্সন বিবেক দেবরায়, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শাখা সংগঠন ‘সংস্কৃত ভারতী’র প্রতিষ্ঠাতা চামু কৃষ্ণ শাস্ত্রী, প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মঞ্জুল ভার্গব এবং সংগীতশিল্পী শংকর মহাদেবন।
পাঠ্যবইয়ে যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে তাতে ভারতীয় পরিবেশে ভারতীয় লেখকদের দ্বারা রচিত বিষয়বস্তুর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপ ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক ২০২৩ এবং সংশোধিত জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ -র সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা হয়েছে।