• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

চব্বিশের সাফল্যকে সামনে রেখে ছাব্বিশে উত্তরবঙ্গের মাটি আরও শক্ত করতে চায় তৃণমূল

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী বিধানসভা কে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গে মাটি আরও শক্ত করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। গত লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য রাজ্যের শাসকদলের। বিশেষত উত্তরবঙ্গে। গেরুয়া শিবিরের শক্ত মাটিতে এবারই প্রথম ফুটেছে ঘাসফুল। যাঁর হাত ধরে উত্তরের কোচবিহার এসেছে তৃণমূলের হাতে, তিনি ভূমিপুত্র সাংসদ জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। তিনি হারিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে।তাই এবছর

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী বিধানসভা কে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গে মাটি আরও শক্ত করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। গত লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য রাজ্যের শাসকদলের। বিশেষত উত্তরবঙ্গে। গেরুয়া শিবিরের শক্ত মাটিতে এবারই প্রথম ফুটেছে ঘাসফুল। যাঁর হাত ধরে উত্তরের কোচবিহার এসেছে তৃণমূলের হাতে, তিনি ভূমিপুত্র সাংসদ জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। তিনি হারিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে।তাই এবছর একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে বক্তা তালিকার প্রথমদিকেই ছিলেন জগদীশ বর্মা বসুনিয়া।

এদিন তিনি তাঁর বক্তব্যের গোড়া থেকেই ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গ দখলের ডাক দিলেন। বললেন, ”আমার এখন অনেক বেশি দায়িত্ব। আপনারা ভোট দিয়ে আমাকে জিতিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ থেকে যাঁরা জিতে আছেন, তাঁরা তো কোনও কাজই করছেন না। কাজ যা করার করছেন আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাই আমার আবেদন, ছাব্বিশে যে ভোট আসছে, তাতে তৃণমূলকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুন।

উত্তরবঙ্গের সর্বত্র যতদিন না জোড়াফুল ফোটাতে পারব, ততদিন আমার লড়াই চলবে।” কোচবিহার থেকে রাজবংশী সম্প্রদায়ের এবং ভূমিপুত্র জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার সাংসদ হওয়া সাম্প্রতিক বঙ্গ রাজনীতিতে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে নিশীথ প্রামাণিককে পরাস্ত করে উত্তরবঙ্গের মাটিতে প্রথম জোড়াফুলের শক্তি দেখানো। তৃণমূলেরও বিশেষ নজরে উত্তরবঙ্গ। গত লোকসভা ভোটে একটি আসন জয় দলকে উদ্দীপিত করেছে নিঃসন্দেহে। আর তাই ছাব্বিশের টার্গেট উত্তরবঙ্গের বিধানসভা আসনগুলি দখল।

একুশের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে ২০২৬ -এর ভোট নিয়ে বার্তা দেবে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব, তা জানাই ছিল। আর শুরুতেই জগদীশ বর্মা বসুনিয়া সহজ-সরল ভাষায় তা একেবারে স্পষ্ট করে দিলেন। বিশেষ নজর কাড়ল নিজের বক্তব্যে স্থানীয় রাজবংশী ভাষা মিশিয়ে দেওয়ার কৌশল।উত্তরবঙ্গের মতোই একুশের মঞ্চে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জঙ্গলমহলকেও। চব্বিশের নির্বাচনে পুরুলিয়া আসনটি প্রায় জিততে জিততে হাতছাড়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে দলের বেশ কয়েকজন বিধায়ক রয়েছেন। সেই বান্দোয়ানের বিধায়ক দুলাল মুর্মুকে তাই শহিদ দিবসের মঞ্চে বক্তব্য রাখার জন্য ডাকা হয়। তিনিও স্থানীয় আবেগকে সঙ্গে রেখে মানভুঁইঞা ভাষায় ভাষণ দিয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন।আরও অনেক বক্তা তাঁদের বক্তব্য রাখেন।