• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

‘কারও চাকরি যাবে না’, ২১-এর মঞ্চ থেকে আশ্বাস মমতার

নিজস্ব প্রতিনিধি:  নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের হাজার হাজার সরকারি চাকরি আদালতের সুতোয় ঝুলছে। একের পর এক মামলা পাল্টা মামলার চাপে সরগরম থাকে আদালত চত্বর। পাশাপাশি এর আগে আদালতের রায়ে, কয়েক হাজার চাকরিও বাতিল হয়েছিল। তা নিয়ে বরাবরই বিরোধীদের দুষছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একুশের মঞ্চ থেকে কারও চাকরি না-যাওয়ার আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ‘কারও চাকরি যাবে

নিজস্ব প্রতিনিধি:  নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের হাজার হাজার সরকারি চাকরি আদালতের সুতোয় ঝুলছে। একের পর এক মামলা পাল্টা মামলার চাপে সরগরম থাকে আদালত চত্বর। পাশাপাশি এর আগে আদালতের রায়ে, কয়েক হাজার চাকরিও বাতিল হয়েছিল। তা নিয়ে বরাবরই বিরোধীদের দুষছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একুশের মঞ্চ থেকে কারও চাকরি না-যাওয়ার আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ‘কারও চাকরি যাবে না।’
এদিন মমতা বলেন, ‘আমার হাতে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি রয়েছে। কিন্তু একটু এগোলেই, আদালতে পিল করে দিচ্ছে। সিপিএম, কংগ্রেস আর বিজেপি মিলে পিল খাইয়ে সব বন্ধ করে দিচ্ছে। কখনও ২৫ হাজার কখনও ৪২ হাজার চাকরি খেয়ে নিচ্ছে। কখনও বলছে ওবিসি সংরক্ষণ উঠিয়ে দাও। না উঠবে না। কারও চাকরি যাবে না। আমরা লড়ছি। সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছি। লড়াই আমার করব। ২ কোটির বেশি মানুষকে ওবিসি সার্টিফিকেট দিয়েছি। তাঁরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন।’

উল্লেখ্য, গত মাসে রাজ্যে প্রায় ৫ লক্ষ ওবিসি সংরক্ষণ অবৈধ ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১০ সাল থেকে জারি করা সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দিয়েছে আদালত। তবে ওই সংরক্ষণের অধীনে পাওয়া চাকরি বাতিল বলে ঘোষণা করেনি হাইকোর্ট। বিচারপতিরা জানিয়েছেন, কোনও জাতিকে ওবিসি তালিকাভুক্ত করতে যে বিধি পালন করতে হয়, তা সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়েছে রাজ্য সরকার। এর ফলে যোগ্যরা সংরক্ষণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যদিও হাইকোর্টের সেই রায় মানেন না-বলে আগেই প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল, কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বাতিল হয়েছে ২০১৬-র এসএসসি প্যানেল। চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তার আগে কলকাতা হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেও হাজার হাজার চাকরি বাতিল হয়। পরে সেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি তমলুকের সাংসদ। তাই নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত তাঁর দেওয়ার রায়ের নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলেই অভিযোগ। সে প্রসঙ্গ টেনে এদিন একুশের মঞ্চ থেকে জোরাল সওয়াল করেন মমতা।