অর্ণব সাহা, জলপাইগুড়ি: বাংলাদেশের অশান্তির জের। বন্ধ হয়ে গেল মিতালি এক্সপ্রেস। ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ রেলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে ভারতীয় রেল।এমনটাই জানালেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার সুরেন্দ্র কুমার।গত কয়েক দিন ধরেই কোটা ইস্যুতে উত্তাল বাংলাদেশ। দেশজুড়ে কার্ফু জারি হওয়ার পর কার্যত বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুমিছিল।
তারই আঁচ পড়ল ভারত বাংলাদেশের মধ্যে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুটের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকাগামী মিতালি এক্সপ্রেসের ওপর।
এদিন জলপাইগুড়ি স্টেশনে পরিদর্শনে এসে কাটিহার ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার সুরেন্দ্র কুমার বলেন, “আপাতত মিতালি এক্সপ্রেস বন্ধ আছে। আমরা বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। বাংলাদের অবস্থার কারণে বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর প্রভাব মিতাকি এক্সপ্রেসের ওপর পড়েছে। এরপর থেকে বাংলাদেশ রেলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে চলেছি আমরা। যখনই তাঁরা আমাদের জানাবেন তখনই আমরা ট্রেন চালাব।”
এপারে ভারতের হলদিবাড়ি ওপারে বাংলাদেশের চিলাহাটি মাঝখানে কাঁটাতারের বেড়া। কাঁটাতার দু’দেশকে ভাগ করেছে।আর এই কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে সপ্তাহে তিনদিন ছোটে মিতালি এক্সপ্রেস। ১৯৬৫ সালের পর ফের২০২২ সালের ১ জুন চালু হয় ভারত বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রীবাহী রেল যোগাযোগ। হলদিবাড়ি থেকে চিলাহাটি রুটে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে ভারতীয় ট্রেন।
অমৃত ভারত প্রকল্পে জলপাইগুড়ি স্টেশনে উন্নয়নমূলক সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজ খতিয়ে দেখতেই জলপাইগুড়ি এসেছিলেন কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার। সেখানেই তিনি ট্রেন বাতিলের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলবে না। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পরই ফের ট্রেন চালু হবে।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ১৩১০৯ আপ কলকাতা – ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেসও আটকে পড়েছিল অশান্তির জেরে। দীর্ঘক্ষণ তা বাংলাদেশের দর্শনা স্টেশনে আটকে ছিল। প্রায় তিন ঘণ্টা পর ট্রেনটি পুনরায় দর্শনা থেকে যাত্রা শুরু করে।