গত ১৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে নিট প্রশ্নফাঁস মামলার শুনানি ছিল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ এনটিএ-কে নির্দেশ দেয় শনিবার দুপুরের মধ্যেই ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে সেন্টার এবং শহর ধরে ধরে রেজাল্ট প্রকাশ করতে হবে। একইসঙ্গে জানান হয়েছিল, ফলাফলে গোপন থাকবে শিক্ষার্থীদের পরিচয়, তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আনা যাবে না। একইসঙ্গে আদালত রিপোর্ট চায় বিহার থেকেও।
সেদিন শুনানি চলাকালীন, এবছরের নিট শীর্ষ স্থানাধিকারীরা কোন কোন রাজ্যের কোন শহর থেকে এসেছেন, তা জানতে চেয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। জবাবে এনটিএ জানায়, এবারের শীর্ষ ১০০ স্থানাধিকারীরা ১৮ রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৬টি শহরের ৯৮টি সেন্টারের থেকে এসেছেন। এদিকে মাদ্রাস আইআইটির যে রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে এনটিএ দাবি করছে যে পরীক্ষা স্বচ্ছ ভাবেই হয়েছে, সেই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে ২৩ লাখ পরীক্ষার্থীকে নিয়ে। রিটেস্টের দাবি জানানো আইনজীবীর যুক্তি, এই রিপোর্ট সুযোগ পাওয়া ১ লাখ পরীক্ষার্থীর ওপরে ফোকাস করা উচিত ছিল। এই আবহে আদালত জানতে চায় যে নিট উত্তীর্ণ ১ লাখ ৮ হাজার পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কতজন করেকশন পিরিয়ডে নিজেদের পরীক্ষা কেন্দ্র বদলের আর্জি জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে নিট মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এর আগে গত ১০ জুলাই গভীর রাতে সুপ্রিম কোর্টে নিট পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস নিয়ে একটি হলফনামা পেশ করে এনটিএ। সেই হলফনামায় এনটিএ দাবি করেছিল, নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ সত্যি নয়। এর আগে হলফনামায় এনটিএ-র দাবি ছিল, পটনায় যে সব পরীক্ষার্থী প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তারা কেউই পরীক্ষায় এমন কোনও ভালো মার্কস পাননি। পরীক্ষার স্বচ্ছতা এতে নষ্ট হয়নি। শহর, রাজ্য, এমনকী সেন্টার ধরে ধরে পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে এনটিএ দাবি করেছে, প্রথম ১১ হাজার ব়্যাঙ্ক করা পরীক্ষার্থীরা দেশের সব কোণেই ছড়িয়ে আছেন। এনটিএ জানায়, আইআইটি মাদ্রাজকে দিয়ে তারা নিটের ফলের পর্যালোচনা করিয়েছে। তাতে কোনও অনিয়ম ধরা পড়েনি। এই আবহে সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, নিট ইউজি পরীক্ষা পুনরায় করানোর নির্দেশ দিতে হলে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে গোটা পরীক্ষাই অস্বচ্ছ ছিল।
প্রসঙ্গত, গত ৫ মে, প্রায় ২৩ লক্ষ ৩৩ হাজার পরীক্ষার্থী নিট পরীক্ষায় বসেন। বিদেশের ১৪টি কেন্দ্র-সহ ৫৭১টি শহরের ৪ হাজার ৭৫০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল।