• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

নন্দীগ্রামে নিখোঁজ ৩ জনের পরিবারকে মৃত্যু শংসাপত্র প্রদানের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে জয় পেলেন নন্দীগ্রামে নিহত তিন পরিবার। নন্দীগ্রামের ভূমি আন্দোলনের তিনজন নিখোঁজ ব্যক্তিদের মৃত্যু শংসাপত্র ইস্যু করতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই তিন মৃতেরা হলেন আদিত্য বেরা, সত্যেন গোলে, বলরাম সিং-এর পরিবারের হাতে মৃত্যু শংসাপত্র দিতে নির্দেশ দিল আদালত। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে এই মামলার শুনানি

নিজস্ব প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে জয় পেলেন নন্দীগ্রামে নিহত তিন পরিবার। নন্দীগ্রামের ভূমি আন্দোলনের তিনজন নিখোঁজ ব্যক্তিদের মৃত্যু শংসাপত্র ইস্যু করতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই তিন মৃতেরা হলেন আদিত্য বেরা, সত্যেন গোলে, বলরাম সিং-এর পরিবারের হাতে মৃত্যু শংসাপত্র দিতে নির্দেশ দিল আদালত। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে এই মামলার শুনানি চলে। এই নির্দেশের পর আদালতের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন শুনানি চলাকালীন আদালতের শুনানি কক্ষে বিচারপতি শম্পা সরকার পঞ্চায়েতকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘কী কারণে এত দেরি হচ্ছে? ‘ পঞ্চায়েত আধিকারিকরা জানান, ‘দেরি হচ্ছে। আমাদের ভুল আমরা স্বীকার করছি। কিন্তু এখন অনলাইন আবেদন করতে হবে।’ এরপরই বিচারপতি শম্পা সরকার নির্দেশ দেন, এক মাসের মধ্যে এই তিনজনের পরিবার পঞ্চায়েতে গিয়ে আবেদন করবে। অনলাইন এই আবেদনে তাঁদের সবরকম সাহায্য করবে পঞ্চায়েত সদস্যরা। এক মাসের মধ্যেই তাঁদের মৃত্যুর শংসাপত্র পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি শম্পা সরকার।

গত ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। চারজনের মৃত্যু হয়। ১২ জন নিখোঁজ। এই ঘটনার পর এক দশক পার হয়ে গিয়েছে। তারপরও নিহতদের পরিবার হাতে পায়নি স্বজনের ডেথ সার্টিফিকেট। এদিকে এই শংসাপত্র না থাকায় নানা অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে পরিবারগুলিকে। নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত তো হনই। একইসঙ্গে নানা ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতার মুখে পড়তে হয়। এরপরই মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার শুনানি চলছে হাইকোর্টে।এদিন নিহত তিন পরিবার কলকাতা হাইকোর্টের এহেন নির্দেশে খুশি।