• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

দার্জিলিঙে ফিরল শহিদ ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপার দেহ, শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপচে পড়ল ভিড়

আর কখনও দেখা হবে না, আক্ষেপ মায়ের নিজস্ব প্রতিনিধি: বুধবার দার্জিলিঙে ফিরল বীর শহিদ ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপার কফিনবন্দি দেহ৷ সোমবার সন্ধ্যায় ডোডা জেলার দেশা জঙ্গল এলাকায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল ব্রিজেশের নেতৃত্বে ভারতীয় সেনার একটি দল৷ জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে জখম হন ব্রিজেশ সহ আরও ৪ জন ৷ গুরুতর অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হলে

আর কখনও দেখা হবে না, আক্ষেপ মায়ের

নিজস্ব প্রতিনিধি: বুধবার দার্জিলিঙে ফিরল বীর শহিদ ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপার কফিনবন্দি দেহ৷ সোমবার সন্ধ্যায় ডোডা জেলার দেশা জঙ্গল এলাকায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল ব্রিজেশের নেতৃত্বে ভারতীয় সেনার একটি দল৷ জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে জখম হন ব্রিজেশ সহ আরও ৪ জন ৷ গুরুতর অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কাউকেই বাঁচানো সম্ভব হয়নি৷ বুধবার তাঁর দেহ দার্জিলিঙে ফিরলে শ্রদ্ধা জানান অগণিত মানুষ৷

বুধবার বাগডোগরা বিমানবন্দরের আলফা জোনে ব্রিজেশের দেহ অবতরণ করানো হয়৷ সেখান থেকে দুপুর ৩টে নাগাদ হলুদ কমলা গাঁদা ফুলে সাজানো সামরিক গাড়িতে করে জাতীয় পতাকায় মুড়ে কফিনবন্দি দেহ আনা হয় ব্যাঙডুবি সেনা ছাউনিতে৷ এদিন ২৭ বছর বয়সি এই প্রাক্তন ক্যাপ্টেনকে শেষ বারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে উপচে পড়েছিল ভিড়৷ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা, গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যান অনিত থাপা, জেলাশাসক সহ প্রাক্তন সেনা কর্মীরা৷

জানা গিয়েছে, বুধবার ব্যাঙডুবি সেনা ছাউনিতেই ব্রিজেশের দেহ থাকবে৷ বৃহস্পতিবার সকালে লেবংয়ে তাঁর বাড়ির উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হবে দেহ৷ এদিন ব্রিজেশের মা নীলিমা থাপা বলেন, ‘দেশের জন্য (ব্রিজেশ) নিজেকে বলিদান দিয়েছে৷ এটাই আমার গর্ব৷ ওর এই বলিদান নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে৷ তবে এটাও সত্যি যে ওর সঙ্গে আর কখনও দেখা হবে না৷’ অপরদিকে, ব্রিজেশের বাবা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ভুবনেশ থাপা বলেন, ‘সকলেই যদি চাকরি আর ব্যবসা করে তাহলে দেশের কাজ কে করবে৷ আমার ছেলে উদাহরণ তৈরি করল৷’

এদিন ব্যাঙডুবি সেনা ছাউনিতে উপস্থিত হয়ে বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ‘প্রতিদিন ভারতকে উত্ত্যক্ত করার মতো কাজ করে চলেছে পাকিস্তান, এর বিরুদ্ধে ভারত সরকারের কড়া জবাব দেওয়া উচিত৷ আরও একটা এয়ার স্ট্রাইকের প্রয়োজন রয়েছে৷ সীমান্তে জওয়ানরা আমাদের সুরক্ষা দেন৷ আমাদেরও কর্তব্য, সৈনিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা৷’

প্রাক্তন সেনা অধিকারিক কর্নেল প্রশান্ত কুমার শর্মার মতে, এতদিন কাশ্মীরে জঙ্গি তৎপরতা বেশি ছিল৷ বর্তমানে জম্মুতে তা বেড়েছে৷ জঙ্গিদের ট্রেনিং ক্যাম্প এবং লঞ্চ প্যাড ধ্বংস করা না হলে এই তৎপরতা বেড়েই চলবে৷