মুম্বই, ১৭ জুলাই – লোকসভা ভোটে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের বিপর্যয়ের পর থেকেই বিদ্রোহ দানা বাঁধছিল। কিছুদিন পরেই মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোট । তার আগেই ফের শিবির বদলের ইঙ্গিত । অজিত পাওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি রাজনীতিতে নতুন করে ধাক্কা খেল। অজিত পাওয়ারকে ছেড়ে চার শীর্ষ নেতা দলত্যাগ করলেন। দলের চার জন শীর্ষনেতা-সহ বহু নেতা মঙ্গলবারই ইস্তফা দিয়েছিলেন অজিতের এনসিপি থেকে। জল্পনা শোনা যাচ্ছে, তাঁরা শরদ পাওয়ারের এনসিপি-তে যোগ দেবেন।
মহারাষ্ট্রের শাসক গোষ্ঠীতে রয়েছে তিনটি দল— শিবসেনা ভেঙে তৈরি হওয়া মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা বা ‘শিন্ডেসেনা’, বিজেপি এবং অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি। লোকসভা ভোটের আগে ২০২৩ সালে এনসিপি ভেঙে কয়েক জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে শাসক গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিলেন অজিত। আদায় করে নিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র সরকারের দ্বিতীয় উপমুখ্যমন্ত্রীর পদটিও । কিন্তু লোকসভা ভোটে অজিতের নেতৃত্বাধীন এনসিপি খারাপ ফল করে। তিন সাংসদ নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন অজিত। তাদের মধ্যে এনসিপি কোনওক্রমে একটি আসন ধরে রাখে। বাকি দু’টি হেরে যায়। অন্য দিকে, এক জন সাংসদ থাকা শরদের এনসিপি জেতে ৮টি লোকসভা আসন। খারাপ ফল করে শিন্ডেসেনা এবং বিজেপিও। আসন বৃদ্ধি পায় বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র দুই শরিক উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা এবং কংগ্রেসের।
যে চার শীর্ষ নেতা অজিতের দল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁরা হলেন অজিত গাভানে, ওই ইউনিটেরই ছাত্র শাখার প্রধান যশ সানে এবং প্রাক্তন কাউন্সিলর রাহুল ভোঁসলে ও পঙ্কজ ভালেকর। এঁরা প্রত্যেকেই শরদের এনসিপিতে ফিরেছেন বুধবার। ফিরেছেন আরও বহু কাউন্সিলর এবং নেতা।
সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগেই গাওহানে অজিত পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করে ভোসারি আসনের দাবি জানান। কিন্তু জোটধর্ম বজায় রাখতে গেলে ওই আসনে দুবার জিতেছেন বিজেপির প্রার্থী। সেই অর্থে পদ্ম শিবিরই ওই কেন্দ্রের যোগ্য দাবিদার। ফলে দাবি ধোপে টেকেনি। তারপরেই তিনি তাঁর অনুগামীদের নিয়ে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।