• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ফার্মেসীর সময়সীমা বাড়াতে উদ্যোগী সুপার

অভিষেক রায়, খড়গপুর, ১৭ জুলাই: রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ফার্মেসি খোলা থাকার সময়সীমা সকাল ন’টা থেকে দুপুর দুটো অব্দি বা আউটডোর শেষ না হওয়া পর্যন্ত। সেই ধারণা পাল্টাতে এবার উদ্যোগী হলেন মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাক্তার ধীমান ব্যানার্জি। যথেষ্ট সংখ্যক কর্মী থাকায় তিনি ফার্মেসি খোলার সময়সীমা দুপুর দুটো থেকে বাড়িয়ে রাত্রি আটটা অব্দি করতে চান। সুপার

অভিষেক রায়, খড়গপুর, ১৭ জুলাই: রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ফার্মেসি খোলা থাকার সময়সীমা সকাল ন’টা থেকে দুপুর দুটো অব্দি বা আউটডোর শেষ না হওয়া পর্যন্ত। সেই ধারণা পাল্টাতে এবার উদ্যোগী হলেন মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাক্তার ধীমান ব্যানার্জি। যথেষ্ট সংখ্যক কর্মী থাকায় তিনি ফার্মেসি খোলার সময়সীমা দুপুর দুটো থেকে বাড়িয়ে রাত্রি আটটা অব্দি করতে চান।

সুপার ডা: ধীমান ব্যানার্জি বলেন, সরকারি হাসপাতালে সাধারণত সকাল ন’টা থেকে দুপুরে আউটডোর খোলা থাকা অবধি ফার্মেসি খোলা থাকে। এই মুহূর্তে আমাদের হাসপাতালে পাঁচজন ফার্মাসিস্ট আছেন। তাছাড়াও এখানে কয়েকজন ট্রেনি ফার্মাসিস্টও কাজ করে। যথেষ্ট সংখ্যক ফার্মেসিস্ট থাকায় আমি ব্যক্তিগতভাবে চাইছি রাত আটটা অবধি ফার্মেসী খোলা থাক। আমাদের রাজ্যে কোথাও এই ব্যবস্থা চালু নেই। তবে বাইরের রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে 24 ঘন্টা ফার্মেসি খুলে রাখার নজির রয়েছে। কোথাও কোথাও ইভনিং আউটডোর চালু আছে,। এটা আমার ব্যক্তিগত পরিকল্পনা হলেও ধারণাটা নতুন নয়। এই মহকুমা হাসপাতালে রাত আটটা অব্দি ফার্মেসী চালু করা গেলে রাজ্যে নতুন নজির তৈরি হবে।

যারা দিনের পর দিন দিনে ৫ ঘন্টা ডিউটি করেন তাদের দিয়ে রাত আটটা অব্দি ফার্মেসি চালানো কতটা বাস্তবসম্মত হবে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। সুপার ডা: ব্যানার্জি বলেন, বাধা আসবে এটা জানা কথা। কিন্তু কর্মীদের বুঝিয়ে তাদের কাজে লাগানো যাবে এটা আমার স্থির বিশ্বাস । এর ফলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। সুপার বলেন, অনেক সময়ই একদিনের ওষুধ দিয়ে ইমারজেন্সি থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অনেক সময় সব ওষুধ দেওয়াও যায় না। বাইরে থেকে কেনার জন্য বলে দেওয়া হয়। ফলে রোগীর পরিজনদের হয় ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয় না হলে পরের দিন ওষুধ কেনার জন্য ফার্মেসিতে লাইন দিতে হয়। যেটা অনেক সময় সম্ভব হয় না । তাই রাত আটটা অব্দি ফার্মেসি খোলা রাখার চিন্তাভাবনা শুরু করেছি। আমার পাশে রয়েছেন রুগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হেমা চৌবে এবং খড়্গপুরের মহকুমা শাসক পাতিল অশোক যোগেশ রাও । আমার পরিকল্পনায় যথাযথ সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। সুপার জানান , জেলা থেকে, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এই বিষয়ে অনুমতি আদায়ের লড়াই শুরু করতে হবে।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: সৌম্য শংকর সরঙ্গি বলেন, আমার কাছে এখনো অব্দি কোন প্রস্তাব আসেনি,। প্রস্তাব এলে নিশ্চয়ই বিবেচনা করব । রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হেমা চৌবে বলেন, সুপারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই । আমরা যথাযথ সাহায্যের আশ্বাস দিচ্ছি । প্রশাসনিক ভাবে কোনো সাহায্য প্রয়োজন হলে তা আদায়ের জন্য সাহায্য অবশ্যই করব।