• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

সিএএ-তে আবেদন মাত্র ৮, ‘নির্বাসিত করা হবে’ হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তের

দিসপুর, ১৫ জুলাই– গত মার্চ মাসে গোটা দেশে চালু হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)৷ তবে এই আইন নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছিল জাতীয় রাজনীতি৷ বিরোধী আন্দোলনের জেরে মৃতু্য হয়েছিল ৫ জনের, অথচ চার মাস হল সিএএ চালু হয়ে গেলেও অসমে নাগরিকত্বের জন্য মাত্র ৮ জন আবেদন করেছেন৷ তাঁর মধ্যে মাত্র দু’জন ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলেন৷ সোমবার আক্ষেপের

অসমের শিক্ষামন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা (Photo: Twitter/@himantabiswa)

দিসপুর, ১৫ জুলাই– গত মার্চ মাসে গোটা দেশে চালু হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)৷ তবে এই আইন নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছিল জাতীয় রাজনীতি৷ বিরোধী আন্দোলনের জেরে মৃতু্য হয়েছিল ৫ জনের, অথচ চার মাস হল সিএএ চালু হয়ে গেলেও অসমে নাগরিকত্বের জন্য মাত্র ৮ জন আবেদন করেছেন৷ তাঁর মধ্যে মাত্র দু’জন ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলেন৷ সোমবার আক্ষেপের সুরে এমনই জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা৷ এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হিমন্ত বলেন, ‘আমি অনেক লোকের সঙ্গে দেখা করেছি, কথা বলেছি৷ তাঁরা আমাকে জানিয়েছেন যে, তাঁরা তাঁদের নাগরিকত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত৷ তবে প্রয়োজনে আদালতে তা প্রমাণ করবেন৷ এটা অসমের মানুষের কাছে সাধারণ অনুভূতি৷’
এই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যাঁরা ২০১৫ সালের আগে ভারতে এসেছেন, নাগরিকত্ব আইনের শর্ত মেনে আবেদন না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করবে সরকার৷ আর যাঁরা ২০১৫ সালের পরে এসেছেন, তাঁদের নির্বাসিত করা হবে৷
দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ বিল পাশ করিয়েছিল কেন্দ্রের মোদি সরকার৷ এমনকি, সেই বিলে সইও করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ৷ ওই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত৷ কিন্ত্ত সিএএ-তে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও সেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা উল্লেখ করা হয়নি৷
সিএএ বিল আইনে পরিণত হওয়ার পরেও মোদি সরকার তা কার্যকর করতে পারেনি৷ এই আইনের বিরুদ্ধে সুর চড়ান বিরোধীরা৷ দাবি, সিএএ ‘অসাংবিধানিক’ এবং ‘বৈষম্যমূলক’৷ তাঁদের কথায়, কেন এই আইনে শুধু মাত্র ছয় সম্প্রদায়ের কথা বলা হল? কেন মুসলিম সম্প্রদায়কে বাদ দিয়ে এই আইন বানাল কেন্দ্র সরকার? এই আন্দোলনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পডে়ছিল অসমে৷ সিএএ বিরোধী আন্দোলনের সময় ২০১৯ সালে পাঁচ জনের মৃতু্য হয়েছিল৷ সেই কথাও সোমবার মনে করিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী৷
অসমে অনুপ্রবেশের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে৷ বিভিন্ন সময়ে হিন্দু বাঙালিদের একটি বিশাল জনসংখ্যা এই রাজ্যে বসতি গডে়ছে৷ পড়শি রাজ্য বাংলাদেশ থেকে বাঙালি মুসলমানদের অবৈধ অনুপ্রবেশও একটি বড় সমস্যা৷
প্রশ্ন হল, সিএএ-তে এত কম সংখ্যক আবেদন পডে়ছে কেন? হিমন্ত জানান, অনেকেই নিজেদের নাগরিকত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত৷ মনভাব হল, প্রয়োজনে আদালতে তা প্রমাণ করবেন৷ হিমন্তের বক্তব্য, ‘৫০ লক্ষ মানুষ এই আইনের অধীনে নাগরিকত্ব পাবেন৷’