• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

“আমাদের মনে রাখা উচিত ভিন্ন মতামত, নীতি এবং রাজনৈতিক খেলা কোনওটিই ভালোবাসার ঊর্দ্ধে নয় ,”  বিবৃতি দিলেন মেলানিয়া ট্রাম্প 

ওয়াশিংটন, ১৫ জুলাই –  ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রচার সভায় বন্দুকবাজের গুলিতে আহত হওয়ার বেশ কয়েক ঘণ্টা পর প্রতিক্রিয়া জানালেন  তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প। খোলা চিঠিতে আমেরিকারবাসীর উদ্দেশে তিনি লেখেন, রাজনৈতিক মতাদর্শ আর  ভালবাসার প্রতি আরও জোর দিতে হবে আমাদের।  নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে মেলানিয়া লিখেছেন, “আমাদের মনে রাখা উচিৎ ভিন্ন মতামত, নীতি, বা রাজনীতি

ওয়াশিংটন, ১৫ জুলাই –  ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রচার সভায় বন্দুকবাজের গুলিতে আহত হওয়ার বেশ কয়েক ঘণ্টা পর প্রতিক্রিয়া জানালেন  তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প। খোলা চিঠিতে আমেরিকারবাসীর উদ্দেশে তিনি লেখেন, রাজনৈতিক মতাদর্শ আর  ভালবাসার প্রতি আরও জোর দিতে হবে আমাদের। 

নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে মেলানিয়া লিখেছেন, “আমাদের মনে রাখা উচিৎ ভিন্ন মতামত, নীতি, বা রাজনীতি – কোনকিছুই  ভালবাসার ঊর্ধ্বে নয়।” তিনি আরও লিখেছেন, ‘ডোনাল্ডকে যখন গুলির আঘাতে পড়ে যেতে দেখছি তখন অনুভব করলাম আমার এবং ব্যারনের জীবনে বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে।” বন্দুকবাজের গুলিতে ট্রাম্প অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও মারা যান সভায় উপস্থিত এক ব্যক্তি,  আহত আরও একজন। তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মেলানিয়া লিখেছেন, “যে সমস্ত পরিবার এই ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের ফল ভোগ করছেন, তাঁদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল।”
 
বিবৃতিতে বন্দুকবাজ থমাসকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মেলানিয়া। থমাস ম্যাথু ক্রুকসকে তিনি ‘অমানুষ’ বলে উল্লেখ করেছেন। সব শেষে মেলানিয়া লেখেন, “আমরা সবাই এমন একটি পৃথিবী চাই, যেখানে সম্মান সবার আগে, ভালোবাসায় পরিপূর্ণ পরিবার সবার প্রথমে থাকবে। পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করছে। যাঁরা এই খারাপ সময়ে আমাদের সমর্থন জানিয়েছেন, রাজনৈতিক সীমারেখা পেরিয়ে যাঁরা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ।”
 
শনিবার পেনসিলভেনিয়ার বাটলারের একটি সভায় গিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাঁর কথা শোনার জন্য সেখানে জড়ো হন বহু মানুষ। মঞ্চে উঠে তিনি যখন তাঁর বক্তব্য রাখছিলেন সেই সময়ই তাঁর উপর বন্দুকবাজের হামলা হয়। দেখা যায়, ট্রাম্পের ডান দিকের কানের পাশ থেকে রক্ত বেরোচ্ছে। তাঁর মুখেও রক্ত দেখা যায়। তিনি হাত দিয়ে কান চেপে ধরেন। সভায় উপস্থিত বাকিরাও নিচু হয়ে বসে পড়েন। দ্রুত সেখান থেকে ট্রাম্পকে সরিয়ে নিয়ে যান তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত নিহত। সভায় উপস্থিত এক দর্শকেরও মৃত্যু হয়েছে। আরও দু’জন জখম। এফবিআই পরে জানায়, বন্দুকবাজের নাম থমাস ম্যাথু ক্রুকস।  ২০ বছরের ওই যুবক পুলিশ এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে নিহত হন।
 
ট্রাম্পের উপর হামলার ঘটনায় হিংসার বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে আমেরিকা। শাসকদল থেকে শুরু করে বিরোধী, সকল নেতারাই এই ধরনের হামলার বিরোধিতা করেছেন। হামলার নিন্দা করেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, “আমেরিকায় এই ধরনের হিংসার কোনও স্থান নেই। দেশ হিসাবে আমাদের অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপক্ষে এই হত্যার প্রচেষ্টা”। ট্রাম্পের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে তিনি জানান, এখনও হামলার উদ্দেশ্য জানা যায়নি।উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।