• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

বোলপুরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলনেত্রী কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে বেপাত্তা

প্রতারণার ফাঁদে পড়ে বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ  খায়রুল আনাম: একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলনেত্রী নানাভাবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রভাবিত করে তাঁদের কাছ থেকে কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়ে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বীরভূমের বোলপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সবুজপল্লী এলাকার পরিস্থিতি শনিবার ১৩ জুলাই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। স্থানীয় কাউন্সিলার চিরঞ্জিত সাহা

Symbolic-image

প্রতারণার ফাঁদে পড়ে বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ 

খায়রুল আনাম: একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলনেত্রী নানাভাবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রভাবিত করে তাঁদের কাছ থেকে কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়ে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বীরভূমের বোলপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সবুজপল্লী এলাকার পরিস্থিতি শনিবার ১৩ জুলাই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। স্থানীয় কাউন্সিলার চিরঞ্জিত সাহা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনিও জানিয়েছেন যে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কাছ থেকে তিনি যে অভিযোগ পেয়েছেন, তাতে মনে হচ্ছে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলনেত্রী সরস্বতী পাল মহিলাদের নানাভাবে প্রভাবিত করে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়ে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন। যে সমস্ত মহিলারা সরস্বতী পালের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন, তাঁরা চাইলে তাঁদের টাকা উদ্ধার করতে সরস্বতী পালের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন। তিনি তাঁদের পাশে থেকে সমস্ত রকমের সহযোগিতা দেবেন। এই মুহূর্তে বাড়িতে সরস্বতী পালের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর বৃদ্ধা মা। তিনি জানিয়েছেন, মেয়ে তিনদিন আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। মেয়ে কোথায় গিয়েছে, তা তিনি জানেন না।

যে সমস্ত মহিলারা সরস্বতী পালের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন, তাঁরা জানিয়েছেন, সরস্বতী পাল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলনেত্রী হওয়ার সুবাদে তাঁর সঙ্গে ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য সরকারি আধিকারিকদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলে তাঁরা জানতেন। তাঁর কাছে অনেক লোকজনও আসতেন। কিন্তু এখন তাঁরা বুঝতে পারছেন, তাঁরা কেউ ব্যাঙ্কের লোক নন, তাঁদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলনেত্রী সরস্বতী পালের প্রতারণা চক্রের লোকজন। প্রতারিত মহিলাদের মধ্যে রেখা শর্মা জানিয়েছেন, তিনি মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো টাকা সরস্বতী পালের হাতে তুলে দিয়েছিলেন ব্যাঙ্ক থেকে বেশি টাকা ঋণ পাবার আশায়। কিন্তু তিনি কোনও টাকা-ই ফেরৎ পাননি সরস্বতী পালের কাছ থেকে। একই পরিস্থিতির কবলে পড়েন রাখী গড়াই। তারপরই তাঁরা জানতে পারেন যে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ছ’শো জনের বেশি সদস্যা কেউ ত্রিশ হাজার টাকা, কেউ পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত সরস্বতী পালের হাতে তুলে দিয়েছেন অধিক টাকা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাবার আশায়। তাঁরা এখন চাইছেন, পুলিশ প্রতারক সরস্বতী পালকে যে কোনওভাবেই হোক খুঁজে বের করে তাঁদের টাকা ফেরৎ পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিক।