কাঠমান্ডু, ১৩ জুলাই– ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপালেও যেন ভারতেরই প্রতিচ্ছবি৷ যদিও মাওবাদী নেতা পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ডের স্থানে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন আর এক ‘চিনপন্থী’ নেতা কেপি শর্মা ওলি৷ তিনি কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (ইউনিফায়েড মার্কসিস্ট লেনিনিস্ট)-এর প্রধান৷ শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বাধীন নেপালি কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে তৃতীয় বার কাঠমান্ডুর কুর্সিতে ফিরতে চলেছেন তিনি৷ ভারতের মোদি সরকারের মতো জোটে ভর নয় নিরঙ্কুশ ক্ষমতায় ওলি হতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ শনিবারই আনুষ্ঠানিক ভাবে জোট সরকারের প্রধান হিসাবে সিপিএন (ইউএমএল) নেতা ওলির নাম ঘোষণা হল৷
শুক্রবার নেপাল পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসে আস্থাভোট পরাজিত হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন মাওয়িস্ট সেন্টারের প্রধান প্রচণ্ড৷ তার আগেই অবশ্য নেপালি কংগ্রেস-সিপিএন (ইউএমএল) জোটের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষিত হয়েছিল৷ তবে জল্পনা ছিল প্রধানমন্ত্রীর নাম নিয়ে৷ নেপালি কংগ্রেসের ৮৯ জন এবং সিপিএন (ইউএমএল)-এর ৭৮ মিলিয়ে মোট ১৬৭ জন সংসদের সমর্থন ওলির সঙ্গে রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে৷
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের নভেম্বরে নেপালের সাধারণ নির্বাচনে নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লডে়ছিল প্রচণ্ডের মাওয়িস্ট সেন্টার৷ কিন্ত্ত জোটে জেতার পরেই দেউবাকে ছেডে় ওলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন প্রচণ্ড৷ ২০২৩-এর মধ্য পর্বে ওলির সঙ্গে মতবিরোধের সময় দেউবার সমর্থন নিয়ে কাঠমান্ডুর কুর্সি বাঁচিয়েছিলেন একদা গেরিলা যোদ্ধা৷ মোট চার বার জোট বদলে কুর্সি বাঁচালেও এ বার ‘চিনপন্থী’ ওলি ‘জাতীয়তাবাদী’ দেউবার সঙ্গে হাত মেলানোয় প্রচণ্ডের কুর্সি নড়ে উঠেছে৷
শুক্রবার আস্থাভোটে ২৭৫ সদস্যের হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের ২৫৭ জন ভোট দিয়েছিলেন৷ প্রচণ্ডকে সমর্থন করেছেন মাত্র ৬৩ জন! ১৯৪ জন বিরোধিতা করেছেন৷ তবে আস্থা ভোটের আগে প্রচণ্ডের প্রস্তাব মেনেই চিনের সঙ্গে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এ বেজিং-কাঠমান্ডু রেল যোগাযোগ পরিকাঠামো গডে় তুলতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বিষয়টিতে ঐকমত্য হয়েছে পার্লামেন্টে৷ সমর্থন করেছে ওলির দল৷