মুম্বাই, ১২ জুলাই – ক্রস ভোটিংয়ের সম্ভাবনাকে ঘিরে নানা জল্পনার মধ্যে দিয়েই শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে মহারাষ্ট্রে শুরু হয় বিধান পরিষদের ভোট। বিজেপির হস্তক্ষেপের ভয়ে কয়েক দিন আগে কংগ্রেস-শিবসেনা (উদ্ধব)-শরদ পওয়ারের ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’ জোট বিধায়কদের রিসর্টে বন্দি করে রাখে। শুক্রবার সকালে সেখান থেকেই কড়া নিরাপত্তায় তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় বিধানসভা ভবনে। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ২৪৬ জন বিধায়ক তাঁদের ভোট দিয়েছেন।
এই দফায় মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদের ‘বিধায়কদের জন্য সংরক্ষিত’ ১১টি আসনে ভোট হচ্ছে। মোট প্রার্থী সংখ্যা ১২। শাসক বিজেপি-শিন্ডেসেনা-এনসিপি অজিত পাওয়ারের ৯ জন এবং বিরোধী জোটের ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন। ২৮৮ সদস্যের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বর্তমানে ২৭৪ জন বিধায়ক রয়েছেন। জেতার জন্য এক জন প্রার্থীকে ২৩টি ভোট পেতে হবে। হিসেবমতো শাসক ‘মহাদ্যুতি’ ন’টি এবং বিরোধীরা দু’টিতে জিততে পারে। কিন্তু তৃতীয় আসনে ‘পেজ়েন্টস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স পার্টি’ -র প্রার্থীকে সমর্থন করছে মহাবিকাশ আঘাড়ী।
বিধানসভার মতোই বিধান পরিষদেও ‘নির্বাচিত’ হতে হয়। কিন্তু সেখানে সাধারণ নাগরিক নন, ভোটাধিকার থাকে বিভিন্ন পেশার মানুষ, বিধায়ক এবং পঞ্চায়েত-পুরসভার মতো স্থানীয় প্রশাসনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গেও একটা সময় বিধান পরিষদ ছিল। সত্তরের দশকে যুক্তফ্রণ্টের সরকার ক্ষমতায় এসে তার অবলুপ্তি ঘটায়। সারা ভারতে এখনও ৬টি রাজ্যে বিধান পরিষদ আছে। সেগুলি হল বিহার, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলে ঙ্গানা, কর্নাটক এবং মহারাষ্ট্র।