নান্দিয়াল, ১১ জুলাই: ভয়াবহ গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটল অন্ধ্রপ্রদেশের নান্দিয়াল জেলায়। তিন নাবালক মিলে গণধর্ষণের পর হত্যা করল ৮ বছরের এক নাবালিকাকে। গত চার দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর ওই বালিকাকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা সামনে আসে। এরপর তার দেহ উদ্ধারে স্থানীয় একটি খালে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। নাবালিকার দেহের হদিশ পেতে সহযোগিতা করে একটি স্নিফার ডগ। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত এক বালক তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। পুলিশের জেরায় সে জানিয়েছে, ওই নাবালিকাকে তিনজনে মিলে গণধর্ষণের পর খুন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নান্দিয়াল জেলার মুচুমারী গ্রামে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৭ জুলাই থেকে ওই বালিকাটি নিখোঁজ ছিল। তার বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় যে, গত রবিবার বাড়ির কাছেই পাড়ার খেলার মাঠে খেলতে যাওয়ার পর আর বাড়ি ফেরেনি। অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রথমে অনেক তদন্ত চালিয়েও ওই বালিকার হদিশ না পেয়ে গোয়েন্দা কুকুরের সাহায্য নেয়। তখনই রহস্যের কিনারা হয়। স্নিফার ডগটি প্রথমে ওই তিন কিশোরের কাছে নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হতেই তাদের আটক করে পুলিশ। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। ওই তিন কিশোর মেয়েটির সঙ্গে একই স্কুলে পড়ত। তারা ওই স্কুলের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে বলে জানা গিয়েছে।
ধৃত তিন কিশোরের একজন পুলিশের সামনেই স্বীকার করে নিয়েছে যে, তারা ওই বালিকাকে তাদের সঙ্গে খেলা করতে ডাকে। তারপর সেচ পাম্প হাউসের কাছে একটি নির্জন স্থানে তাকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ধরা পড়ার আশঙ্কায় তারা তিনজন মেয়েটিকে খালে ঠেলে ফেলে দিয়ে হত্যা করে। এই স্বীকারোক্তির পর, পুলিশ মুচুমারি লিফ্ট সেচ পাম্প হাউসের কাছে কৃষ্ণা নদীর পিছনের জলে তল্লাশি চালাচ্ছে। এমনিতেই বর্ষা মৌসুমে খালের জল বেশ গভীর। ফলে নাবালিকার লাশ ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।