নিজস্ব প্রতিনিধি, বনগাঁ: বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে থেকে উপনির্বাচনে বনগাঁর ঠাকুর পরিবারের সদস্য তথা দলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুরকে প্রার্থী করে তৃণমূল। আর প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর থেকেই ‘কনফিডেন্ট’ দেখিয়েছে মধুপর্ণাকে। গোটা প্রচার পর্বের পাশাপাশি ভোটের দিনও আত্মবিশ্বাসে কোনওরকম খামতি নেই তাঁর।
ভেটের দিন সকাল থেকেই বাগদা বিধানসভার বিভিন্ন বুথে ঘুরতে দেখা যায় মধুপর্ণা ঠাকুরকে। মা মমতাবালা ঠাকুরকে সঙ্গে নিয়েই বাড়ি থেকে বের হন তিনি। তবে সকালে মা মমতাবালা ঠাকুরের সঙ্গে ‘গভঃ অফ ইন্ডিয়া’ লেখা গাড়িতে চড়ে বেরনোয় তৈরি হয় বিতর্ক। বিষয়টি নিয়ে বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ জানানো হয় কমিশনে। যদিও সাময়িকভাবে সেই পরিস্থিতি সামাল দিয়ে বাগদা বিধানসভা এলাকার নানা বুথ পরিদর্শন জারি রাখেন মধুপর্ণা। প্রার্থীর পরিচয়পত্র নিয়ে বিভিন্ন বুথে প্রবেশ করে ভোট পরিদর্শন করেন তিনি। আর গাড়িতে বসে থাকেন মা মমতাবালা। কোনও কোনও জায়গায় ভোটারদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। বিভিন্ন জায়গা থেকে নানা অভিযোগ পেয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থাও নিতে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থীকে।
নলডুগারি এফপি স্কুলের ৩০,৩১ ও ৩২ নম্বর বুথে বিজেপির ঝান্ডা বেঁধে টোটো করে ভোটারদের নিয়ে আসার অভিযোগ ওঠে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এরপরই তৎপর হতে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থী সহ কর্মী ও সমর্থকদের। নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানান হয়। তারপরই টোটো থেকে ঝান্ডা খুলে দিতে দেখা যায়। এককথায় বলতে গেলে এভাবেই বাগদা বিধানসভার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত কখনও সশরীরে, কখনও আবার ফোনে নির্দেশ দিয়ে ভোট পরিচালনা করলেন মধুপর্ণা।দিনভর ছোটাছুটির পরেও ক্লান্তির লেশমাত্র দেখা যায়নি মধুপর্ণার চোখেমুখে। বরং এদিনও জয়ের বিষয়ে একইরকম আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে তাঁকে। মধুপর্ণা বলেন, ‘প্রথমদিন থেকেই বলছি, জয়ের আবির এবার আমরাই খেলব। বুথে বুথে দেখেছি। সব জায়গাতেই ইতিবাচক সাড়া, যা হচ্ছে ভালোই হবে।’ এই উপনির্বাচনে বাগদায় বিজেপির কোনও স্থান নেই বলেই মনে করেন তৃণমূল প্রার্থী।