• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

জম্মু-কাশ্মীরে কাজ শেষ হলেই বিদেশিদের বাড়ি পাঠাবে কমিটি  

জম্মু, ১০ জুলাই– জম্মু-কাশ্মীর থেকে জঙ্গি হানার বা সেনা জওয়ানদের মৃতু্যর খবর আসবে না এটা ভাবাই যায় না৷ প্রতিনিয়ত কোথায় না কোথায় ষড়রন্ত্র করা হচ্ছে ভূস্বর্গে রক্তপাত ঘটানোর৷ অনেক সময়ে নানা দেশের নাগরিক আবার অনেক সময় কাশ্মীরের বাসিন্দাদের ব্যবহার করেই ঘটনা হচ্ছে জঙ্গি কার্যকলাপ৷ তাই এবার জঙ্গিদমনে একেবারে মূল থেকে উপড়ে ফেলার চিন্তা শুরু করল ভারত

জম্মু, ১০ জুলাই– জম্মু-কাশ্মীর থেকে জঙ্গি হানার বা সেনা জওয়ানদের মৃতু্যর খবর আসবে না এটা ভাবাই যায় না৷ প্রতিনিয়ত কোথায় না কোথায় ষড়রন্ত্র করা হচ্ছে ভূস্বর্গে রক্তপাত ঘটানোর৷ অনেক সময়ে নানা দেশের নাগরিক আবার অনেক সময় কাশ্মীরের বাসিন্দাদের ব্যবহার করেই ঘটনা হচ্ছে জঙ্গি কার্যকলাপ৷ তাই এবার জঙ্গিদমনে একেবারে মূল থেকে উপড়ে ফেলার চিন্তা শুরু করল ভারত সরকার৷ এই উদ্দেশ্যে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করল রাজ্য প্রশাসন৷ এই কাজ শেষ হলে জম্মু-কাশ্মীরে বসবাসকারী বিদেশীদের তাদের নিজের দেশে ফেরত পাঠানো৷ এই প্যানেলকে জীবনপঞ্জি এবং বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করার কাজ দেওয়া হয়েছে৷ অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশিদের ডিজিটাল রেকর্ড তৈরি এবং তা নিয়মিত আপডেট করবে সাত সদস্যের এই কমিটি৷
রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি চন্দ্রকর ভারতী এক নির্দেশে জানিয়েছেন, ২০১১ সাল থেকে অবৈধভাবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের চিহ্নিত করার কমিটি পুনর্গঠনের বিষয়ে সর্বসম্মত অনুমোদন মিলেছে৷ স্বরাষ্ট্র দফতরের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সেক্রেটারির নেতৃত্বে এই প্যানেল গঠিত হবে৷
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, পাঞ্জাবের বিদেশি নাগরিক সংক্রান্ত আঞ্চলিক নথিভুক্তিকরণ অফিসার, জম্মু ও শ্রীনগরের সিআইডি স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং সমস্ত জেলার এসএসপি ও এসপিরা, এছাড়া রাজ্যের এনআইসির একজন সমন্বয়কারী অফিসার৷
নির্দেশে রয়েছে, প্রতিমাসের ৫ তারিখের মধ্যে এই কমিটি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে আগের মাসের রিপোর্ট পাঠাবে৷ স্বরাষ্ট্র দফতর প্যানেলকে আরও নির্দেশ দিয়েছে, এখানে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোরও কাজ করতে হবে৷ বিভিন্ন আদালতে চলা বিদেশি অনুপ্রবেশকারী মামলাগুলির হালহকিকত সম্পর্কেও দফতরে জানাতে হবে৷
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এক অভিযানে মায়ানমারের ২৭০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছিল৷ তাঁদের মধ্যে ৭৪ জন মহিলা এবং ৭০টি শিশু ছিল৷ তাদের কাঠুয়া জেলার হিরানগরের উপ সংশোধনাগারে রাখা হয়েছে৷