• facebook
  • twitter
Friday, 18 October, 2024

অস্তিত্ব সঙ্কটে মায়াবতীর বসপা, এক ধাক্কায় সদস্য চাঁদা ২০০ থেকে কমে ৫০ টাকা

লখনউ, ৯ জুলাই: ঘোরতর অস্তিত্ব সঙ্কটে মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি। বহুকাল আগে দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে উত্তরপ্রদেশের মানুষ। দলীয় সদস্য যা কিছু অবশিষ্ট ছিল, এখন আরও তলানিতে ঠেকেছে। সেজন্য অস্তিত্ব সঙ্কট কাটাতে দলের সদস্য বাড়াতে জোর দিল একসময়ে রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় থাকা মায়াবতীর দল। সেজন্য দলীয় সদস্য পদ গ্রহণের শর্ত সহজ করা হয়েছে। এমনকি

বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। (Photo: IANS)

লখনউ, ৯ জুলাই: ঘোরতর অস্তিত্ব সঙ্কটে মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি। বহুকাল আগে দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে উত্তরপ্রদেশের মানুষ। দলীয় সদস্য যা কিছু অবশিষ্ট ছিল, এখন আরও তলানিতে ঠেকেছে। সেজন্য অস্তিত্ব সঙ্কট কাটাতে দলের সদস্য বাড়াতে জোর দিল একসময়ে রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় থাকা মায়াবতীর দল। সেজন্য দলীয় সদস্য পদ গ্রহণের শর্ত সহজ করা হয়েছে। এমনকি সদস্যপদ গ্রহণের জন্য যে ন্যূনতম চাঁদা নেওয়া হতো, সেটাও কমিয়ে এক চতুর্থাংশ করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, আগে মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি (বসপা)-র প্রাথমিক সদস্যপদের চাঁদা ছিল ২০০ টাকা। এখন তা কমিয়ে মাত্র ৫০ টাকা করা হয়েছে। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত? এবিষয়ে দলের তরফে জানানো হয়েছে, মানুষের বর্তমান অর্থনৈতিক সঙ্কটের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমত মানুষের হাতে নগদ টাকার অভাব। তাছাড়া বিভিন্ন কারণে আয় কমে গিয়েছে। এরকম অবস্থায় দলের সব ইউনিটকে মায়াবতীর নির্দেশ, নতুন সদস্য বাড়াও। বিশেষ করে দলিত, মুসলিম এবং অন্যান্য অনুন্নত শ্রেণির মধ্যে প্রভাব বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন নেত্রী।

শুধু তাই নয়, দলের জাতিগত সমীকরণেও বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে নেত্রীর নির্দেশে। পূর্বে ২০০৭ সাল নাগাদ উত্তর প্রদেশের মতো জাত সংঘাতে দীর্ণ রাজ্যে ব্রাহ্মণ, দলিত অর্থাৎ তফসিলি এবং ওবিসি বা অন্যান্য অনুন্নত শ্রেণির মেলবন্ধন ঘটিয়ে গোটা দেশকে চমকে দিয়েছিলেন মায়াবতী। সেসময় থেকে টানা পাঁচ বছর তিনি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। দলের সাধারণ সম্পাদক করেছিলেন ব্রাহ্মণ সতীশ শর্মাকে। কিন্তু ২০১২ সালের পর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তাঁর দলিত ভোটে থাবা বসিয়েছে বিজেপি, সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস। এদিকে রাজ্যে ক্ষমতায় হারানোয় ব্রাহ্মনরাও তাঁর সঙ্গে ত্যাগ করেছেন। মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন মুসলিম ভোটাররাও।

প্রসঙ্গত এই মুহূর্তে লোকসভায় মায়াবতীর দলের আসন সংখ্যা শূণ্য। একমাত্র দলের সুপ্রিমো মায়াবতী রাজ্যসভার সদস্য রয়েছেন। এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় মাত্র একটি বিধায়ক রয়েছে মায়াবতীর। অথচ এই রাজ্যেই একসময় শাসন ক্ষমতায় ছিল দল। মায়াবতীর দলের ধূমকেতুর মতো উত্থান ঘটে। এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ৬৮ বছর বয়সি মায়াবতী নানা অসুখে ভুগছেন। মাঠে-ময়দানের রাজনীতিকে বলতে গেলে বিদায় দিয়েছেন বছর পাঁচ হল। তার উপর দুর্নীতির নানা অভিযোগের চাপ তো আছেই। অন্তত সাড়ে তিন দশক দেশে দলিত রাজনীতির মুখ মায়াবতীর রাজনৈতিক জীবনে এত বড় সংকট আসেনি। সেই সংকট আরও বাড়িয়ে তুলেছেন ভীম পার্টির চন্দ্রশেখর আজাদ। গো-বলয়ে দলিত রাজনীতির এই নয়া মুখ বেশ কয়েক বছর যাবত রাতের ঘুম কেড়েছেন মায়াবতীর।