রায়পুর, ৮ জুলাই– দুর্নীতির দায়ে জেলযাত্রার পর ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সবে মিলেছে জামিন৷ জামিন পেয়েই ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসা শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল তাঁর জন্য৷ হলোটাও তাই৷ সেই মতো বিধানসভায় আস্থাভোটে সহজ জয় ছিনিয়ে নিয়ে ঝাড়খণ্ডের কুর্সিতে পুনর্বহাল হলেন হেমন্ত সোরেন৷
জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর শীঘ্রই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করবেন হেমন্ত সোরেন৷ চলতি বছরে ঝাড়খণ্ডে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন৷ তার আগে জনদরবারে নিজের আস্থা বাড়াতে কোমর বেঁধে নেমে পড়তে চলেছেন তিনি৷
জেল থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের পর হেমন্ত সোরেনে সামনে মৃদু বাধা ছিল আস্থা ভোট৷ যদিও সেখান জয় কার্যত নিশ্চিত ছিলেন সোরেনের৷ কেননা বিধানসভায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার ২৭ জন বিধায়কের পাশাপাশি কংগ্রেসের ১৭টি এবং আরজেডির একজন বিধায়ক মিলে সোরেনের হাতে রয়েছে ৪৫ জনের সমর্থন৷ অন্যদিকে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোটে সবশুদ্ধ ৩০ জন রয়েছেন৷ লোকসভা নির্বাচনের কারণে কক্ষের সদস্য সংখ্যা কমে যাওয়ায় ৩৮টি ভোটই যথেষ্ট ছিল আস্থা ভোটে জয়ী হতে৷
সোমবার আস্থাভোট শুরু হতেই বিধানসভায় হট্টগোল শুরু করেন বিরোধী দলের বিধায়করা৷ কিন্তু তাতে বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি সোরেনের জয়ে৷ এর পর বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যায় বিরোধী শিবির৷
আস্থাভোট শুরু হতেই সোরেনের পক্ষে ভোট পড়ে ৪৫টি৷ বিরোধী শিবির ওয়াক আউট করলেও সংসদে ছিলেন নির্দল বিধায়ক সূর্য রায়৷ তিনি অবশ্য ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেননি৷ আস্থা ভোটে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে ঝাড়খণ্ডের কুর্সিতে পুনর্বহাল হলেন হেমন্ত সোরেন৷
উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি জমি দুর্নীতি মামলায় আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেপ্তার হন হেমন্ত৷ তার আগেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন৷ জেএমএমের চম্পাই সোরেন মুখ্যমন্ত্রী হন৷ প্রায় পাঁচ মাস জেলে থাকার পর গত ২৮ জুন হেমন্তকে জামিন দেয় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট৷ এর পরই চম্পাই ইস্তফা দিলে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন হেমন্ত সোরেন৷ সোমবার আস্থা ভোটেও লেটার মার্কস নিয়ে পাশ করলেন তিনি৷